নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
তিন দিন আগে গত মঙ্গলবার বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড চেয়ারম্যান আর্ল এডিংস বলেছিলেন, এ বছর বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারা তার চোখে ‘অবাস্তব।’ এবার সেই সুরেই কথা বললেন আইসিসির আরেক সিনিয়র বোর্ড সদস্য এহসান মানিও। বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব হবে না বলেই মনে করেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান। যদি তাই হয় তাতে বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাবে এক বছরের জন্য।
অস্ট্রেলিয়ায় যদিও করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখন যথেষ্ট নিয়ন্ত্রিত। অগাস্টে সেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে। মাঠে নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শক প্রবেশের ব্যবস্থা রাখার কথাও ভাবা হচ্ছে। তবে বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট একরকম অসম্ভব, গতপরশু ভিডিও কনফারেন্সে বলেছেন মানি, ‘অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ড যদিও তাদের সরকারের সতর্কতায় কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, তার পরও এ বছর যদি অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যেটি হবে, তারা হয়তো চাইবে জীবাণুমুক্ত পরিবেশে আয়োজন করার। পাকিস্তান দলের ইংল্যান্ড সফরের ক্ষেত্রে যেটি করা হবে, একটি হোটেলে থেকে মাঠে আসা ও সবকিছু করা, মাঠে দর্শক না থাকা। দুই-একটি দলের ক্ষেত্রে এসব ঠিক আছে। কিন্তু ১২-১৬ দলের টুর্নামেন্টে এটি প্রায় অসম্ভব। আমার মনে হয় না, এ বছর কোনো আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করা সম্ভব।’
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়া এখন বলা যেতে পারে কেবল সময়ের ব্যাপার। সেক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত হবে, আগামী বছরের বিশ্বকাপ কোথায় হবে। কারণ, আগামী বছর আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ভারতে। ২০২২ সালে কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট আপাতত সূচিতে নেই। সেই বছরটি কাজে লাগাতে পারে আইসিসি। কিন্তু দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই এক বছর করে পিছিয়ে যাবে, নাকি ভারতে আগামী আসর ঠিক সূচিতে রেখে ২০২২ সালের আসর অস্ট্রেলিয়ায় হবে, এটিই এখন বড় সিদ্ধান্ত।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের যা খবর, এই বছর বিশ্বকাপ আয়োজনের আশা ছেড়ে দিয়ে আগামী বছর অক্টোবর-নভেম্বরে আয়োজনে মরিয়া অস্ট্রেলিয়া। সেক্ষেত্রে ২০২২ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে হবে পরের আসর। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারতে হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারতের ভাবনার জায়গা হলো, ৫-৬ মাসের মধ্যে দুটি বিশ্ব আসর আয়োজন কতটা সম্ভব। আইসিসির সাবেক চেয়ারম্যান মানি জানালেন, এসব নিয়েই আলোচনা চলছে, ‘আমার মনে হচ্ছে, বিশ্বকাপ এক বছরের জন্য পিছিয়ে যাবে। আইসিসির সেই সুযোগও আছে, কারণ ২০২০, ২০২১ ও ২০২৩ সালে আইসিসি টুর্নামেন্ট আছে সূচিতে, মাঝে যে এক বছর বিরতি আছে, সেটি পূরণ করা যেতে পারে এবারের আসর পিছিয়ে দিয়ে। আলোচনা সেদিকেই গড়াচ্ছে। কোন আসর আগে হবে আর কোনটি পরে, সেটি নিয়ে কথা চলছে। এ বছর টুর্নামেন্ট আয়োজন করা বড় ঝুঁকি হয়ে যাবে। কারণ যদি কোনো ক্রিকেটার আক্রান্ত হয়, তাহলে যে আতঙ্ক ছড়াবে, সেটি সামাল দেওয়া কঠিন হবে। সেই ঝুঁকি নেওয়া উচিত হবে না।’ মানি জানালেন, আগামী তিন-চার সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে।
এদিকে আইসিসি চেয়ারম্যান পদের জন্য লড়ার খবর উড়িয়ে দিয়ে মানি বলেন, ‘আমি নির্বাচন করছি না। এটাই সত্যি। সংবাদমাধ্যমে আগেও বলেছিলাম। এই খবরটি এসেছে ভারত থেকে। আমাকে বেশ কয়েকজায়গা থেকে বলা হয়েছে নির্বাচনের ব্যাপারে, আমি আগ্রহ দেখাইনি। আইসিসিতে আমার আগ্রহ শুধু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেই সম্পৃক্ত। আমাকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ফোন দিয়েছিলেন। আর আমি পাকিস্তান ক্রিকেটের কথা চিন্তা করেই কাজ করছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।