দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
পূর্ব প্রকাশিতের পর
উত্তর : ৮. কুরআন এক দুর্লভ ও বিরল সাহিত্যও বটে
নিখুঁত চয়নে, ভাষাশৈলীতে, অলঙ্কারের যথার্থ ব্যবহার ও বলার নৈপূণ্যতা প্রদর্শনে কুরআন পাকের যেকোনো একটি আয়াতই বিশ্বের সকল ভাষায় আজ পর্যন্ত যত ক্লাসিক সাহিত্য রচিত হয়েছে তা চ্যালেঞ্জ করার জন্য যথেষ্ট। কুরআনের সবকিছু অভিনব ও আশ্চর্য । প্রচলিত সাহিত্যের দৃষ্টিতে গদ্যও নয় পদ্যও নয়। এর মধ্যে রয়েছে সর্বোচ্চ মানের গদ্য সাহিত্যের সাবলীলতা আর কাব্যিক ছন্দের মূর্চ্ছনা। এ দু’য়ের অপূর্ব মিশ্রণে সৃষ্টি হয়েছে এমন রহস্যপূর্ণ ভাবের বাহন যাকে বিশোষিত করার কোন বিশেষণ ভাষার অভিধানে নেই। “আমি রাসূলকে কাব্য শিখাইনি এবং এটি তার জন্য শোভনীয়ও নয়। এ তো কেবল এক উপদেশ ও স্পষ্ট কুরআন মাত্র।” [সূরা ইয়াসিন : ৬৯]
৯. কুরআনের হিফাযতকারী স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা
আলকুরআন অপরিবর্তনীয় গ্রন্থ। পৃথিবীতে এমন কোনো গ্রন্থ নেই, যা চৌদ্দশ বছর ধরে একইভাবে অক্ষত অবস্থায় বিরাজমান। শতাব্দীর পর শতাব্দী কত সময় অতিবাহিত হয়ে গেল, পরিবর্তিত হয়ে গেল কত নদীর কত গতিপথ, কত সভ্যতার কত উত্থান-পতন ঘটলো, জন্ম নিলো নতুন লাখো লাখো গ্রন্থ। কিন্তু আলকুরআন রয়ে গেল আগের মতই।
কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে,‘‘এই যিকর (কুরআন) আমিই নাযিল করেছি, আর আমি নিজেই এর হিফাযতকারী।’’ [সূরা হিজর : ০৯]
১০. কুরআন লওহে মাহফুযে লিপিবদ্ধ
কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে, ‘‘বরং এটা মহান কুরআন, লওহে মাহফুযে লিপিবদ্ধ।’’ [সূরা বুরূজ : ২১-২২]
১১. কুরআন পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী
কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে, ‘‘আর আমি তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি যথাযথভাবে, এর পূর্বের কিতাবের সত্যায়নকারী ও এর উপর তদারককারীরূপে।’’ [সূরা আল-মায়েদা : ৪৮]
১২. এটা রোগের নিরাময় গ্রন্থ
কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে, ‘‘হে লোক সকল, তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে উপদেশবাণী এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হিদায়াত ও রহমত মুসলিমদের জন্য।’’ [সূরা ইউনুস : ৫৭]
১৩. অপবিত্র অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা নিষেধ
কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে,
যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না।’’ [সূরা ওয়াকিয়া : ৭৮]
১৪. কুরআনকে সহজ করা হয়েছে : কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে, ‘‘আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?’ [সূরা কামার : ১৭]
১৫. আল্লাহর প্রিয় বান্দার উপর উহা নাযিল হয়
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘বরকতপূর্ণ সে সত্তা-যিনি তার প্রিয় বান্দাহর উপর এ ফোরকান অবতীর্ণ করেছেন, যাতে এর মাধ্যমে তিনি জগতবাসীকে সতর্ক করে দিতে পারেন।’’ [সূরা ফোরকান : ০১]
১৬. আলকুরআন সকল মানুষের জন্য অবতীর্ণ হয়েছে
পবিত্র কুরআনুল হাকীমে ইরশাদ হয়েছে, “রমাদান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কুরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত।” [সূরা বাকারা : ১৮৫] মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি, নাস্তিক, শিখ, জৈন, মুরতাদ, ধর্মনিরপেক্ষবাদী, মার্কসবাদী, কমিউনিস্ট, সাম্যবাদী, ধর্মহীন, ধর্মপ্রিয়, প্রকৃতি পূজারি, অগ্নিউপাসক তথা সকল ইনসান কওমের জন্য আলকুরআন।
উত্তর দিচ্ছেন : এইচ. এম. মুশফিকুর রহমান
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।