বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনার রাইসা ক্লিনিকের মালিক ডা. মোঃ আব্দুর রকিব খানের (৫৯) মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ডাঃ রকিব হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামী জমির, আবুল আলী, গোলাম মোস্তফা, খাদিজাকে গাজীপুরের টঙ্গী ও খুলনার রূপসা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে আবদুর রহিম নামের একজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এ নিয়ে এজাহারভুক্ত চার আসামীর মধ্যে তিনজন গ্রেফতার হলো।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির এসব তথ্য জানান।
বুধবার দুপুরে নিহতের ছোট ভাই খুলনা মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যার ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়।
উল্লেখ্য, নগরীর মোহাম্মদ নগরের পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আবুল আলীর স্ত্রী শিউলী বেগমকে ১৪ জুন সিজারের জন্য রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই দিন বিকেল ৫টায় অপারেশন হয়। বাচ্চা ও মা প্রথমে সুস্থ ছিলেন। পরে রোগীর রক্তক্ষরণ হলে ১৫ জুন সকালে খুলনা মেডিক্যার কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানের চিকিৎসকরাও রোগী রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে ঢাকায় রেফার্ড করে। ঢাকায় নেওয়ার পথে ১৫ জুন রাতে শিউলী বেগম মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত রোগীর স্বজনরা ৫ জুন রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে ডা. রকিবকে লাথি ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে তার মাথার পেছনে জখম হয়। তাকে প্রথমে গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শেখ আবু নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে ১৬ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জানা যায়, গ্রেফকৃতদের মধ্যে মৃত রোগী শিউলী বেগমের ভাই জমির, স্বামী আবুল আলী, ভাবি খাদিজা ও চাচা গোলাম মোস্তফা রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।