বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বুধবার ভোরে নওগাঁর সাপাহার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের ছুড়ে মারা ককটেলের বিস্ফোরণে আব্দুল বারী ওরফে সাহু (৪৫) নামে আরও এক বাংলাদেশী রাখাল নিহত হয়েছে। তিনি উপজেলার দক্ষিণ পাতাড়ী গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। গত পরশু সোমবার ভোরে জেলার পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্তে বিএসএফের ছোড়া গুলিতে শ্রী সুভাষ রায় ওরফে নির্মল নামে এক রাখালের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কয়েকজন চোরাপথে গরু কিনতে ভারতের অভ্যন্তরে যায়। ভোর ৪ টায় তারা গরু কিনে নিয়ে সাপাহার উপজেলার দক্ষিণ পাতাড়ী গ্রামের আদাতলা বিজিবি ক্যাম্পের অধীনে ২৪২ মেইন পিলারের ১৩ আর এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় ভারতের ১৫৯ বিএসএফ খুঁটাদহ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ করে ককটেল নিক্ষেপ করে। একটি ককটেল আব্দুল বারীর শরীরের পিছনে আঘাত করে বিষ্ফোরিত হলে তিনি মারাত্মক আহত হন। আহত অবস্থায় হামাগুড়ি দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে নোম্যান্স ল্যান্ডের পুর্ণভবা নদীতে এসে পড়েন। অন্যরা পালিয়ে এসে স্বজনদের খবর দিলে সকাল ৭ টায় তাকে উদ্ধার করে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের শরীরের পিছনে নিতম্বে একটি ক্ষত দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন।
সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই নিউটন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আদাতলা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আব্দুল হান্নান জানান, নিহত ব্যক্তি বিজিবির তালিকাভুক্ত চিহ্নিত চোরাকারবারী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।