নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
করোনাভাইরাসের ছোবলে তিন মাস ধরে বাংলাদেশে সব ধরণের ফুটবল খেলা বন্ধ রয়েছে। স্থগিত হয়ে যায় দীর্ঘ সাত বছর পর শুরু হওয়া নারী ফুটবল লিগও। লাল-সবুজের মেয়েরা এখন গৃহবন্দী। তবে ঘরে বসেই নিজেদের মতো ফিটনেস ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। জাতীয় নারী দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন নিয়মিতই যোগাযোগ রাখছেন মেয়েদের সঙ্গে। ছোটনের আশা একসময় করোনা দুর্যোগ কেটে যাবে, ফের মাঠে ফিরবে ফুটবল। আর সাফল্যের ধারাবাহিকতা থাকবে মেয়েরা।
আগামী সেপ্টেম্বর মাসে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ও ১৮ চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা মাঠে গড়ানোর কথা। অতীতের মতোই বয়সভিত্তিক পর্যায়ে সাফল্য দেখতে চান কোচ। তাই তো গতকাল তিনি মুঠোফোনে বললেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বরে মেয়েদের সাফে দু’টি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট আছে। আমরা আশা করছি এরই মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। করোনা মহামারি থেকে রক্ষা পাবো আমরা। তখন সব ধরনের খেলা মাঠে গড়াবে। মেয়েরা আগে যেমন পারফরম্যান্স করেছে, সাফল্য পেয়েছে, ঠিক তেমনি ভবিষ্যতেও তা ধরে রাখতে পারবে।’
করোনার কারণে মেয়েদের অনুশীলন বন্ধ থাকলেও ছোটন ও তার সহকারীরা মুঠোফোন বা অনলাইনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন নারী ফুটবলারদের। এ প্রসঙ্গে কোচের কথা, ‘সর্বশেষ কয়েক বছরে আমাদের মেয়েদের ফুটবলে ব্যস্ত সময় কেটেছে। আগে আমরা সব সময় চেষ্টা করেছি মেয়েদের ফিটনেস লেবেল সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখতে। এখন করোনার কারণে সবকিছু থমকে গেছে। ফিটনেস লেভেলও কমে যাওয়ার কথা। তবে আমরা মেয়েদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে তাদের প্রয়োজনীয় টিপস দিচ্ছি। বাড়ির উঠানে তারা যেন কিছু অনুশীলন করতে পারে, সেটাই বলা হয়েছে। যেন তাদের ফিটনেস লেবেল কাছাকাছি পর্যায়ে থাকে। পাশাপাশি মানসিকভাবেও তাদের উজ্জীবিত করছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।