Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

প্রথম জীবন রক্ষাকারী করোনা প্রতিষেধক ডেক্সামেথাসোন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০২০, ৭:০৪ পিএম | আপডেট : ৮:১৯ পিএম, ১৬ জুন, ২০২০

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জীবন বাঁচাতে পারে ডেক্সামেথাসোন নামের একটি সস্তা এবং বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত ওষুধ। সল্প পরিমাণে স্টেরয়েড চিকিৎসায় এটি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় সফলতা দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা।

বিদ্যমান ওষুধগুলোর মধ্যে কোনটা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধেও কাজ করে তা দেখার জন্য বিশ্বের সব পরীক্ষার মধ্যে ডেক্সামেথাসোন পরীক্ষা হচ্ছে বৃহত্তম। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি ভেন্টিলেটরে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের মৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস করে। অক্সিজেন নেয়া রোগীদের ক্ষেত্রে মৃত্যু হ্রাসের সংখ্যা এক-পঞ্চমাংশ।

গবেষকরা অনুমান করেন যে, ড্রাগটি যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস মহামারীর শুরু থেকে পাওয়া গেলে অন্তত ৫ হাজার লোকের জীবন বাঁচানো যেত। কারণ এটি সস্তা, বিশাল সংখ্যক কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসার জন্য দরিদ্র দেশগুলোও এর মাধ্যমে বিশাল উপকার পেতে পারে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রতি ২০ জন রোগীর মধ্যে প্রায় ১৯ জন হাসপাতালে না এসে ভাল হয়ে যায়। যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়, তাদের মধ্যেও বেশিরভাগই ভাল হয়ে যায় তবে কারও কারও জন্য অক্সিজেন বা ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন হতে পারে। এ ধরণের উচ্চ ঝুঁকিযুক্ত রোগীর জন্য ডেক্সামেথাসোন উপকারি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটি দলের নেতৃত্বে এই পরীক্ষায় প্রায় হাসপাতালের ২ হাজার রোগীদের ডেক্সামেথাসোন দেয়া হয়েছিল। তাদের সাথে যারা ড্রাগ পাননি এমন ৪ হাজার রোগীর তুলনা করা হয়। ভেন্টিলেটর রোগীদের ক্ষেত্রে এটি মৃত্যুর ঝুঁকি ৪০ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশে কমিয়ে আনে। অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় এমন রোগীদের জন্য এটি মৃত্যুর ঝুঁকি ২৫ থেকে ২০ শতাংশে হ্রাস করে।

ডেক্সামেথাসোন ১৯৬০ সালের গোড়া থেকেই ব্যবহার করা হয় রিউম্যাটয়েড আর্থাইটিস এবং হাঁপানির মতো রোগের চিকিৎসায়। আউসিইউতে থাক রোগীদের জন্য এটি স্যালাইনের মাধ্যমে এবং কম গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য এটি ট্যাবলেট হিসাবে দেয়া হয়। সূত্র: বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ