মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অক্সফোর্ডের পরে এবার করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিনের এবার মানব–পরীক্ষা শুরু করেছে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীরা। প্রথম ধাপে মোট ৩০০ জন মানুষের উপরে এই ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ প্রয়োগ করা হবে।
জানা গেছে, ভ্যাকসিনটি তৈরির উদ্যোগের জন্য ইতিমধ্যে ৪ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার সরকারি ও ৫০ লাখ ডলার দাতব্য সহযোগিতা পাওয়া গেছে। অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিনটির পর এটি যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় ভ্যাকসিন হিসেবে মানব–পরীক্ষায় যাচ্ছে। ভ্যাকসিনটি প্রাণীর ওপর পরীক্ষার সময় উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে—এমন প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছেন গবেষকেরা। প্রথম পর্যায়ে মানুষের ওপর পরীক্ষায় যদি এটি নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়, তবে এ বছরের শেষ দিকে ছয় হাজার মানুষের ওপর ভ্যাকসিনটি পরীক্ষা করা হতে পারে। ইম্পেরিয়ালের ভ্যাকসিনটি তৈরিতে পুরো ভাইরাস ব্যবহারের পরিবর্তে সিনথেটিক জেনেটিক তন্তু মাংসপেশিতে পুশ করা হয়। এতে দ্রুত শরীরে করোনাভাইরাস প্রোটিন তৈরি হয়ে প্রতিরোধী সক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে।
ইম্পেরিয়ালের গবেষণার নেতৃত্ব দানকারী অধ্যাপক রবিন শ্যাটক বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে একটি ভ্যাকসিন সর্বাধিক দুর্বল ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় এবং লকডাউনের সীমাবদ্ধতা কমিয়ে মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে। তাদের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন এখনো একটি কার্যকর ইমিউন প্রতিক্রিয়ার উত্সাহজনক লক্ষণ দেখিয়েছে।’
অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনসহ মানব–গবেষণা নিয়ে বর্তমানে প্রায় এক ডজন সম্ভাব্য ভ্যাকসিন রয়েছে। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে সম্প্রতি ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে একটি উন্নত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। অন্যান্য ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বায়ো এন টেক, জনসন অ্যান্ড জনসন, মডার্না, সানোফি ও ক্যানসিনো বায়োলজিকস।
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানীরা আত্মপরিবর্ধনকারী আরএনএ প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে করোনারোধী ভ্যাকসিন তৈরি করছেন। তারা ভ্যাকসিন সরবরাহে বিশেষ কোম্পানি তৈরি করছেন, যাতে তাদের ভ্যাকসিন সফল হলে গরিবদের কাছে সহজে তা পৌঁছে দেয়া যায়।
ইম্পেরিয়াল কলেজ ও হংকংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মর্নিংসাইড ভেঞ্চার্সের উদ্যোগে তৈরি ভ্যাকুইটি গ্লোবাল হেলথ এ ভ্যাকসিন তৈরি করছে। ইম্পেরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীদের তৈরি আরএনএ ভ্যাকসিন মূলত পেশিকোষে জিনগত নির্দেশ পাঠায়, যাতে কোষ স্পাইক প্রোটিন তৈরি করতে পারে। এ প্রোটিনের উপস্থিতি রোগ প্রতিরোধী সক্ষমতাকে প্ররোচিত করে, যাতে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা তৈরি হয়। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।