পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এসএসসি পরীক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা না নেয়ার অভিযোগ করেছে ধর্ষিতার স্বজনরা। গতকাল সোমবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে থানার ওসির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন তার ভাই কামরুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৯ জানুয়ারী পৌরসভার শান্তিনগর এলাকার সোহরাব মাস্টারের বাড়িতে আমার বোনকে একই উপজেলার ছিলিমপুর গ্রামের প্রভাবশালী মুকুল খানের ছেলে প্রিন্স খান বাবু ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ধর্ষক প্রিন্স বাবু ও আমার বোনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার পর দিন ৩০ জানুয়ারী ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করতে আসি। থানার ওসি মামলা প্রথমে নিলেও পরবর্তীতে আমাকে ১৪ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখেন এবং মামলা করলে আমাকে ও বোনকে মিথ্যা মামলা ও কোর্টে চালানের হুমকি দেন। আমার বোনকে খারাপ ও পতিতা অপবাদ দিয়ে থানা থেকে বের করে দেন।
বিষয়টি নেত্রকোনা পুলিশ সুপারকে জানালে তিনি ওসিকে মামলা নেয়ার নির্দেশ দেন। মামলা নেয়ার কথা বলে থানায় এনে ওসি আমাদের দুজনকে একটি আলাদা কক্ষে আটকে রেখে বিভিন্ন হুমকি দিতে শুরু করেন। সেখানে ৪৮ ঘন্টা থানায় আটকে রাখার পর পৃথক দুটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বলেন বের করে দেন। ঘটনার ৬ মাস পার হলেও মামলা নেয়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, আমার বোন ওসি রাশেদুজ্জামানকে আপনার মেয়ের মতো বলার পরও তাকে বেশ্যা ও খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। ধর্ষক প্রিন্স এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ওসির বিচারের জন্য আইজিপি বরারবর অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি নিয়ে ওসি রাশেদুজ্জামান তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার ও ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন। এ ব্যাপারে নেত্রকোনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি জানান, যেহেতু বিষয়টি অনেকদিন আগের তাই খোঁজ নিয়ে পরর্বর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।