Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওসি মামলা না নিয়ে উল্টো ধর্ষিতাকে দিলেন অপবাদ

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

এসএসসি পরীক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা না নেয়ার অভিযোগ করেছে ধর্ষিতার স্বজনরা। গতকাল সোমবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে থানার ওসির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন তার ভাই কামরুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৯ জানুয়ারী পৌরসভার শান্তিনগর এলাকার সোহরাব মাস্টারের বাড়িতে আমার বোনকে একই উপজেলার ছিলিমপুর গ্রামের প্রভাবশালী মুকুল খানের ছেলে প্রিন্স খান বাবু ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ধর্ষক প্রিন্স বাবু ও আমার বোনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার পর দিন ৩০ জানুয়ারী ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করতে আসি। থানার ওসি মামলা প্রথমে নিলেও পরবর্তীতে আমাকে ১৪ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখেন এবং মামলা করলে আমাকে ও বোনকে মিথ্যা মামলা ও কোর্টে চালানের হুমকি দেন। আমার বোনকে খারাপ ও পতিতা অপবাদ দিয়ে থানা থেকে বের করে দেন।

বিষয়টি নেত্রকোনা পুলিশ সুপারকে জানালে তিনি ওসিকে মামলা নেয়ার নির্দেশ দেন। মামলা নেয়ার কথা বলে থানায় এনে ওসি আমাদের দুজনকে একটি আলাদা কক্ষে আটকে রেখে বিভিন্ন হুমকি দিতে শুরু করেন। সেখানে ৪৮ ঘন্টা থানায় আটকে রাখার পর পৃথক দুটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বলেন বের করে দেন। ঘটনার ৬ মাস পার হলেও মামলা নেয়া হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, আমার বোন ওসি রাশেদুজ্জামানকে আপনার মেয়ের মতো বলার পরও তাকে বেশ্যা ও খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। ধর্ষক প্রিন্স এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ওসির বিচারের জন্য আইজিপি বরারবর অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি নিয়ে ওসি রাশেদুজ্জামান তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার ও ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন। এ ব্যাপারে নেত্রকোনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি জানান, যেহেতু বিষয়টি অনেকদিন আগের তাই খোঁজ নিয়ে পরর্বর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৬ জুন, ২০২০, ৮:২৭ এএম says : 0
    বিষয়টা নিয়ে ধর্ষিতার পরিবার কয়েক মাশ ধরে টানা হেচড়া করে যাচ্ছেন কিন্তু এর কোন বিহিত করতে নাপেরে শেষে তারা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টাকে সামনে এনেছেন। এখন অবশ্যই এর একটা বিহিত হবে সেটা বুঝা যাচ্ছে। তবে ২৯ জানুয়ারীর ঘটনা এটা পুলিশ মিয়ারা হজম করে ফলবে এমনটাও নিন্দুকেরা মন্তব্য করছেন। তারপরও যেহেতু বিষয়টা পত্রপত্রিকায় এসেছে প্রচুর লোকজন জেনেছেন সেহেতু এখন পুলিশের পক্ষেও এটাকে সহজে হজম করা সম্ভব না। আবার নিন্দুকেরা বলছেন, পুলিশ মিয়ারা এতই দুর্দান্ত যে তারা এলাকার নেতা, সাংবাদিক ও উকিল (যারা সংবাদ প্রচারের পর বিষয়টা নিয়ে নাড়াচাড়া করে থাকেন) এদেরকে সহজেই পকেট করতে পারেন যেজন্য এসব বিষয় একবার পত্রিকায় আসার পর ধামচাপাও পরে যায়। কাজেই থানার ওসি যে চরম অন্যায় করেছে সেটার কোন বিচার হয়না। আমার মনে হয় এসব বিষয়ে বিশেষ করে এই ধর্ষণ জনিত ঘটনা গুলো পত্রিকায় ছাপা হওয়ার সাথে সাথে সেটা প্রধানমন্ত্রীর একটি বিশেষ সেলের নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ