Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা পটভূমিতে স্বাস্থ্যখাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়ার দাবি রাখে

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল বাজেট ঘোষণা করেছেন ১১ জুন বৃহস্পতিবার। এই বাজেট কার্যকর হবে ১ জুলাই বুধবার থেকে। আজ ১৬ জুন মঙ্গলবার। হাতে আছে আরো ১৪ দিন। দেশপ্রেমিক জনগণ আশা করে যে, এই ১৪ দিনে সরকার এই বাজেট সম্পর্কে দ্বিতীয় চিন্তাও করবে। ১১ জুন বাজেট পেশের কয়েকদিন আগে থেকেই আসন্ন বাজেট সম্পর্কে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনীতির সাথে জড়িত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবারের বাজেট কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে মতামত দিয়ে যাচ্ছেন। বাজেট পেশের পর আরো অধিক সংখ্যক ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব মতামত দিয়ে যাচ্ছেন। ১৭ কোটি লোকের দেশে সকলের মতামত একরকম হতে পারেনা। বাস্তবে সেটা হচ্ছেও না। এটিই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য। আমাদের প্রত্যাশা, অর্থমন্ত্রীসহ যারা বাজেট প্রণয়নের সাথে জড়িত, তারা এসব বিবেচনায় নেবেন। শুধু এসব মতামত বিবেচনায় নেওয়াই নয়, প্রয়োজন হলে তাদের সাথে তারা কথা বলবেন। এসব বিশিষ্ট ব্যক্তি বলতে আমি শুধুমাত্র রাজনীতিবিদদেরই বুঝাচ্ছিনা, অর্থনীতিবিদ এবং উন্নয়ন অর্থনীতির সাথে যারা জড়িত তাদেরকেও বুঝাচ্ছি। হাতে আছে ১৪ দিন। করোনা ভাইরাসের কারণে জাতীয় সংসদের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন করাও সম্ভবত ঠিক হবে না। জাতীয় সংসদেও আসন গ্রহণ করার সময় সদস্যগণকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। করোনার কারণে অতীতের অধিবেশনগুলোর মতো একটানা ১০/১২ ঘণ্টা অধিবেশন চালানোও সম্ভব নয়। সেজন্যই বলছি যে জাতীয় সংসদের অধিবেশনও চলতে থাকুক, পাশাপাশি যারা অর্থনীতি এবং শিল্প ও ব্যবসা বাণিজ্যের সাথে জড়িত তাদের সাথেও আলাপ-আলোচনা চলতে থাকুক। এরপর আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যে সব পরামর্শ ও সুপারিশকে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সঠিক বা অনুকূল বলে মনে হবে সে সবের ভিত্তিতেই ২০/২১ সালের বাজেট চূড়ান্ত করা সমীচীন হবে।

সকলেই বলেন এবং সম্ভবত সরকারও তাদের সাথে একমত যে, এবারের বাজেটে প্রধান ফোকাসটি হওয়ার দরকার করোনা ভাইরাসের আক্রমণ প্রথমে নিয়ন্ত্রণ করা এবং ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে আনতে শূন্যে নিয়ে আসা। এটি আজ এজন্য আরো বেশি করে বিবেচনায় আনতে হবে যে করোনা ভাইরাস বিশ্বের কোনো অংশ থেকেই চলে যায়নি। বরং ভাইরাসটির দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানতে শুরু করেছে। শনিবার এই লেখাটি শুরু করেছি। ঐ দিন একটি বাংলা দৈনিকের অনলাইন সংস্করণে একটি খবর দেখে আতংকিত হলাম। খবরটির শিরোনাম, ‘এবার চীনের রাজধানীতে করোনার হানা/ যুদ্ধকালীন জরুরী অবস্থা জারী।’ খবরে বলা হয়েছে, ফের চীনে করোনা ভাইরাসের হানা । এবার একেবারে রাজধানী বেইজিংয়ের পাইকারী বাজারে মিললো করোনা আক্রান্ত মানুষ। আর এ কারণে বেইজিংয়ে যুদ্ধকালীন জরুরী অবস্থা জারী করা হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

বেইজিংয়ের ফেংতাই জেলার প্রশাসক জানিয়েছেন, বেইজিংয়ের শিনফাদি হোলসেল মার্কেটে ৫১৭ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৪৫ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে বেইজিংয়ের সমস্ত খেলাধুলা, ইভেন্ট এবং আন্তঃপ্রদেশ পর্যটন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

দুই
উল্লেখ করা যেতে পারে যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা আক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছে বেশ কয়েক বার। বেইজিংয়ে এই ৪৫ জনের আক্রান্ত্রের পর সেই চীন থেকেই দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলো কিনা সেটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তুমুল জল্পনা কল্পনা চলছে। আজ যেহেতু বাজেট নিয়ে লিখছি তাই বাংলাদেশের করোনা প্রসঙ্গ যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাচ্ছি। কিন্ত তার পরেও তো কান টানলে মাথা আসে। শনিবারের তথ্য মোতাবেক আক্রান্তের দিক দিয়ে বাংলাদেশ চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে। চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩ হাজার ৭৫ জন। মৃত্যু ৪ হাজার ৬৩৪ জন। বাংলাদেশে আক্রান্ত ৮৪ হাজার ৩৭৯ জন। মৃত্যু ১১ শত ৩৯ জন। এরপর করোনাকে নিয়ে সারা জাতির সমন্বিত এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।

এই পটভূমিতে বিচার করলে এই বাজেটে করোনাকেন্দ্রিক নয় বলে প্রায় সমস্ত বিশেষজ্ঞ ও সুধী মহল মনে করেন। বাংলাদেশ সরকারের একজন প্রাক্তণ সচিব এবং অর্থনীতিবিদ এম ফাওজুল কবির খান বলেন, এই বাজেট কোভিড-১৯ কেন্দ্রিক বাজেট নয়। চলতি অর্থ বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির টার্গেট নির্দিষ্ট করা হয়েছিলো ৮.২ শতাংশ। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় জানা গেলো যে সেই প্রবৃদ্ধি হবে ৫.২ শতাংশ। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি কম হবে ৩ শতাংশ। বলা বাহুল্য, সরকারী ভাষ্য অনুযায়ী করোনার কারণে অর্থনীতির চাকা অকস্মাৎ স্থির হয়ে যায়। আর সেই কারণেই প্রবৃদ্ধির হার কমে যায়।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, করোনা তো চলে যায়নি। বরং বিপুল শক্তিশালী হয়ে প্রচন্ড বেগে প্রতিদিন আঘাত হানছে। তেমন একটি অবস্থায় আগামী অর্থ বছরেও (১ জুন থেকে শুরু হবে এবং ২০২১ সালের ৩০ জুন শেষ হবে) জিডিপির হার ৮.২ শতাংশ কোন বিবেচনায় হয়েছে সেটি অর্থনীতিবিদদের বোধগম্য হয়নি। এসব কারণেই চলতি অর্থ বছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২৯ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা এবং রাজস্ব ব্যয় ২১ হাজার ৬১৩ কোটি টাকা হ্রাস করা হয়েছে। এডিপি বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতেও কাঁটছাঁট করা হয়েছে। সেই পটভূমিতে প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা চলতি বছরের রাজস্ব আয়ের চেয়েও বেশি করা হয়েছে কোন বিবেচনায় সেটিও অর্থনীতিবিদদের বোধগম্য নয়। উল্লেখ্য, আগামী অর্থ বছরে রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতির পরিমাণ হলো ১ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকা।

তিন
সাবেক সচিব ফাওজুল কবির খান বলেছেন যে, কয়েকদিন আগেও বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থ বছরে প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি ধরে ছিলো ৩.৮ ভাগ এবং আগামী বছর ৫.৭ ভাগ। সেটি মাত্র সামান্য সময়ের ব্যবধানে ৫.৫ ভাগ এবং ৮.২ ভাগে ধার্য হলো। এই বর্ধিত প্রবৃদ্ধির হারের পটভূমি ব্যাখ্যা করা হয়নি। আগামীতে হয়তো অর্থমন্ত্রী এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন।

তবে একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। করোনা প্যান্ডেমিক বাংলাদেশে একটি তান্ডব সৃষ্টি করেছে। সব ধরণের মানুষই এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত এবং দিন আনা দিন খাওয়া ব্যক্তিদের ওপর ঝড়ের তীব্রতা হয়েছে বেশি। ঠিক এই জায়গাতেই সরকার হয়েছে অগ্নি পরীক্ষার সন্মুখীন। এক দিকে করোনা কবলিত মানুষের জীবন রক্ষা, অন্যদিকে মাসের পর মাস কাজ না থাকায় এসব মানুষ বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির গ্রামাচ্ছাদনের ব্যবস্থা করা। সেটা করতে গিয়েই সরকার লকডাউন মোটামুটি প্রত্যাহার করেছে, দোকানপাট, কলকারখানা, অফিস আদালত খুলে দিয়েছে। চিকিৎসা খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে অফিস আদালত, দোকানপাট, কলকারখানা খুলে দেওয়ায় করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। সরকারের অবস্থা অনেকটা এরকম, যেন পানিতে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ। এক্ষেত্রে সরকারের নীতি মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ব্যাখ্যা করেছেন এভাবেঃ জীবন ও জীবিকার মধ্যে একটি ভারসাম্য সৃষ্টি করা সরকারের একমাত্র লক্ষ্য।

আগামী বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। এই ১০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ঠিক কি কি কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে সেটি এখনো পরিস্কার করা হয়নি। তবে মানুষ গভীর দুঃখের সাথে লক্ষ্য করেছে মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা। করোনা পরীক্ষা নিয়ে মানুষের বিড়ম্বনার শেষ নেই। প্রতিদিন প্রায় সমস্ত পত্র পত্রিকায় সংবাদ বের হচ্ছে যে করোনা টেস্ট করার জন্য আগ্রহী মানুষরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টেস্ট করতে পারছে না। অনেক সময় শুধুমাত্র টেস্ট করানোর জন্য ২/৩ দিন দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে একাধিক মানুষের কাছ থেকে শুনেছি যে, তারা দালাল ধরে একদিনের মধ্যে টেস্ট করিয়েছে। সরকার প্রাইভেট হাসপাতালে পিসিআর টেস্টের জন্য ফি নির্ধারণ করেছে ৩৫০০ টাকা। অথচ নাম করা হাসপাতালে গেলে ডাক্তারের ফি হিসাবে আরো অতিরিক্ত এক হাজার টাকা গুনতে হয়েছে। সবচেয়ে সমস্যা হলো করেনা রোগীর ভর্তির সমস্যা। প্রতিদিনই প্রায় সব সংবাদপত্রে খবর বের হচ্ছে যে, রোগীকে ভর্তির জন্য ৩/৪ টি হাসপাতাল ঘুরেও রোগীর ভাগ্যে ভর্তি জোটেনি। এই ঘোরঘুরির সময় এই হতভাগ্য রোগী সিএনজি বা মোটর গাড়ীর মধ্যেই মারা গেছে। করোনা ছাড়াও অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে বলা হয় যে, আগে করোনা টেস্ট করে আসুন। বসুন্ধরা গ্রুপ ৫ হাজার বেডের একটি হাসপাতাল করে দিতে চেয়েছিলেন। সেটার কি হলো, তার কোনো খবর নাই। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৩ হাজার বেডের একটি করোনা হাসপাতাল স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছিলো। সেটারও কোনো খবর নেই। হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা নেই, ভর্তি হলে আইসিইউ বেড নেই, অক্সিজেন নেই, নেই প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটর।

চার
এই পটভূমিতে স্বাস্থ্যখাতের ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ বিবেচনা করতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা থাকা ভালো। তবে মানুষের জীবন রক্ষার জন্য স্বল্প মেয়াদী ব্যবস্থা রাখতে হবে। করোনা ভাইরাসের আক্রমণ আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতা ও দুর্নীতি উৎকটভাবে আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে। শুধুমাত্র ঢাকায়ই নয়, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট প্রভৃতি শহরে সরকারী খাতে আরো মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই সাথে থাকতে হবে হাসপাতাল। এবার বেশ কয়েকটি বেসরকারী হাসপাতাল সম্পর্কে মানুষের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে এরা মানবতাকে বিসর্জন দিয়েছে। এদের একমাত্র লক্ষ্য হলো রোগীকে শোষণ করে টাকা আদায়।

এব্যাপারে আমেরিকার চিকিৎসা সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা রয়েছে। একজন বাংলাদেশী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি মার্কিন নাগরিকও নন, গ্রীণকার্ড হোল্ডারও নন, ওয়ার্ক পারমিটও নাই। সোজা কথায় তিনি অবৈধ। তাই তার কোনো স্বাস্থ্য বীমাও নাই। কিন্তু হাসপাতালের ডাক্তাররা তার চিকিৎসার ব্যয় সম্পর্কে কিছু ভাবেননি। তাদের প্রধান ভাবনা ছিলো, যে কোনো মূল্যে রোগীকে বাঁচাতে হবে। এবং রোগী বেঁচে যায়।

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বীমা চালু করা একটি বিরাট কাজ। কিন্তু বাজেটে একটি বড় অংকের থোক বরাদ্দ রেখে কাজটি শুরু করা যায় কিনা সেটি কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখতে পারে। একাধিক মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে সময় লাগবে। কিন্তু উদ্যোগটি এখনই গ্রহণ করা প্রয়োজন। থোক বরাদ্দের ১০ হাজার কোটি টাকা যথেষ্ট নয়। এটিকে ৩০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করে অস্থায়ীভাবে অন্তত ৩ হাজার বেডের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, দৈনিক ৩০ হাজার নমুনা পরীক্ষা এবং পরিমিত সংখ্যক আইসিইউ বেড স্থাপন এবং ভেন্টিলেটর সংগ্রহের কাজ এই বাজেট থেকে শুরু করা যায় কিনা সেটি সরকার বিবেচনা করবে বলে আশা করি।
[email protected]

 



 

Show all comments
  • Akash Khan ১৬ জুন, ২০২০, ১:২১ এএম says : 0
    দাবি রাখে না,রাখা উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • SkMizanur Rahman Mizan ১৬ জুন, ২০২০, ১:২৩ এএম says : 0
    যারা বরাবরের মতো দুর্নীতি করছে তারা তো খুবই খুশি এত টাকা বাজেট পকেটে ভরতে পারবে দুর্নীতিবাজরা
    Total Reply(0) Reply
  • Mehedi Hassan Ripon Chy ১৬ জুন, ২০২০, ১:২৩ এএম says : 0
    এটাতো হাসপাতালের বালিশের কভার আর পর্দা কিনতেই লাগবে? তাহলে আর আইসিইউ, ভেন্টিলেটর কেমনে কিনবে
    Total Reply(0) Reply
  • Rony Roy ১৬ জুন, ২০২০, ১:২৩ এএম says : 0
    চিকিৎসা খাতে বারোক আর যে খাতে ই বরোক লুটপাট আর দূর্নীতির জন্য এই দেশের মানুষ ভালো কিছু পাবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Zakia Hossen ১৬ জুন, ২০২০, ১:২৪ এএম says : 0
    অসহায় সাধারণ মানুষের জন্য উপকারী তো কিছুই আসে নাই। সরকারি আমলা চাকরিজীবী তাদের জন্য ভালো হয়েছে ব্যবসায়ীদের জন্য। ভালো বাজেট খাদ্যে ভর্তুকি দেওয়া উচিত ছিল প্রতিটা ফ্যামিলির জন্য রেশন কার্ড চালু করা উচিত ছিল 30 ভাগ ভর্তুকি দিলেই হত।
    Total Reply(0) Reply
  • Arif Ahmad ১৬ জুন, ২০২০, ১:২৫ এএম says : 0
    জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে যতই বাজেট হোক না কেন এগুলো কোন লাভ হবে না! কারণ ১০০% মধ্যে ৯০% হয় দুর্নীতি! যা আমরা পূর্বেই দেখেছি! পারলে সেনাবাহিনীদেরকে দিয়ে কাজ করান তাহলে সঠিক ভাবে হবে কাজ।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Monnan Khan ১৬ জুন, ২০২০, ১:২৫ এএম says : 0
    বাংলাদেশের মত দেশে যা বরাদ্দ হয় তা যদি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে. বিশেষ করে সরকারি দলের লোকজন যেভাবে লুটপাট করে.লুটপাট বন্ধ করতে পারলে সাস্থ্যখাত অনেক উন্নত হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohim Sinha ১৬ জুন, ২০২০, ১:২৬ এএম says : 0
    স্বাস্হ্য খাতে গুরুত্ব পেল কোথায়। এই করোনা মহামারীর মধ্যে মুদ্রাস্ফীত হিসাবে বাড়ে নাই।যদিও বা সামান্য বেড়ে থাকে বাজেটে নব্বুই ভাগ যাবে লুটপাট কারীদের পকেটে। আর জনগন মরবে বিনাচিকিৎসা য়।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohib Miazi ১৬ জুন, ২০২০, ১:২৬ এএম says : 0
    বাংলাদেশের সাস্থ্য খাতের দুর্বলতা নিয়ে কথা বলতে নিজের কাছে খুব লজ্জা লাগে। করোনা মহামারি না আসলে আমিও জানতামনা নিজ জেলায় কোন হাসপাতালে আইচ্যুলেশন বা বেন্টিলেটর নাই ! কত বড় ভুলের মধ্য দিয়ে হাসপাতাল গুলো পরিচালনা করে চলছে স্বাধীনতা পরর্বতী সরকার গুলা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন