পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যে সব মামলায় কোনও কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে ‘নিগ্রো’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তা সব বদলে ফেলতে হবে। এ রকম বর্ণবৈষম্যম‚লক কোনও শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। শুধু তাই নয়, যত দ্রæত সম্ভব রাজ্য পুলিশে এই নির্দেশ জারি করতে হবে। পাঞ্জাব পুলিশকে রবিবার এমনই নির্দেশ দিল পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট। এ দিন কৃষ্ণাঙ্গ প্রসঙ্গে একটি মামলা ওঠে আদালতে। বিচারপতি রাজীব নারায়ণ তখন পঞ্জাব পুলিশকে নির্দেশ দেন এ ধরনের বর্ণবৈষম্যম‚লক কোনও শব্দ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে পুলিশকে। কোনও কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে ‘নিগ্রো’ বললে বর্ণবৈষম্যকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়। যা দেশের পক্ষে লজ্জাজনক একটা বিষয়। বিচারপতি আরও বলেন, “কোনও পুলিশকর্মী যদি এ ধরনের বর্ণবৈষম্যম‚লক বিষয়কে প্রশ্রয় দেন, তা হলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে এমনটাই ধারণা করে, কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিদের বেশির ভাগই মাদক পাচারকারী। এটা ঠিক নয়। এই ধরনের চিন্তাভাবনা খুবই বিপজ্জনক।” আফ্রিকার অনেক নাগরিকই ভারতে আসেন। তাঁদের মধ্যে কেউ পড়তে আসেন, কেউ আবার ঘুরতে। তাঁদের যোগ্য মর্যাদা দেওয়া উচিত। তারা এ দেশের অতিথি। এমনটাও জানিয়েছেন বিচারপতি রাজীব নারায়ণ। তিনি আফ্রিকায় মহাত্মা গাঁধীর সংগ্রামের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। এর পরই তিনি বলেন, “অবাক হই যখন দেখি আফ্রিকার কোনও নাগরিককে কোনও মামলায় ‘নিগ্রো’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সারা বিশ্বে এটা খুবই আপত্তিজনক একটি শব্দ। কোনও কৃষ্ণাঙ্গকে কেউ এ ভাবে বলতে পারেন না। পুলিশ তো নয়ই।” তাই চালান হোক বা তদন্তের কোনও রিপোর্টে পঞ্জাব পুলিশ যাতে আগামী দিনে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির কোনও মামলার ক্ষেত্রে এ ধরনের শব্দ প্রয়োগ না করে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।