পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : হিজবুল মুজাহিদিনের সংগঠক বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই উত্তপ্ত কাশ্মীর উপত্যকা। আর সেই উত্তাপের মধ্যেই কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী নেতা মিরওয়েজ ওমর ফারুককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক পদযাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য বাড়ির বাইরে আসার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় একই সময় গ্রেফতার করা হয়েছে হুরিয়ত কনফারেন্স চেয়ারম্যান সৈয়দ আলি শাহ গিলানিকেও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাশ্মীরের কয়েকজন স্বাধীনতাকামী নেতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয় বলে জানা গেছে।
গত সোমবার অনন্তনাগ যাওয়ার ডাক দেন স্বাধীনতাকামী নেতারা। সেখানে একটি সমাবেশে যোগদানের জন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানানো হয়। মিরওয়েজ ওমর ফারুকও সেই সমাবেশে যোগ দিতে বাড়ি থেকে রওনা দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার বাড়ির বাইরে ওইদিন সকাল থেকেই মোতায়েন ছিল পুলিশ। তারা প্রথমে এই স্বাধীনতাকামী নেতাকে অনন্তনাগে যেতে নিষেধ করে। তাতে রাজি না হওয়ায় পরবর্তিতে ওমর ফারুককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে অনন্তনাগে যাওয়ার চেষ্টা করায় গ্রেফতার হন সৈয়দ আলি শাহ গিলানিও। তিনি কিছুদিন থেকে গৃহবন্দি রয়েছেন। তারপরও অনন্তনাগে সমাবেশে যোগ দিতে রওনা হয়েছিলেন তিনি। শ্রীনগরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে কাশ্মীর ইস্যুতে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতে নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাফিজ সাঈদ। প্রকাশ্য এক সভায় বক্তব্যে তিনি বলেন, কাশ্মীর থেকে তাড়াতাড়ি সেনা সরিয়ে নেয়া উচিত ভারত সরকারের। মেনে নেয়া উচিত গিলানির দেয়া চারটি প্রস্তাব। না হলে তৈরি থাকতে হবে লড়াইয়ের ময়দানে নামার জন্য। সেই সেনাদের সঙ্গে দেখা হবে যুদ্ধের ময়দানে। সাঈদ কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত নেতা হিসেবে পরিচিত। প্রথমে জামাত-ই-ইসলামি কাশ্মীর নামে একটি সংগঠন চালালেও আপাতত তিনি তেহরাক-ই-হুরিয়ত সংগঠনের নেতা। প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই হিজবুল মুজাহিদিনের সংগঠক বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর। জনতা-নিরাপত্তারক্ষী সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৪৫ জন। আহত হয় দুই শতাধিক। টানা ১৪ দিন ধরে অশান্ত কাশ্মীর। পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েকজন স্বাধীনতাকামী নেতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। এদিকে ভারতের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, কাশ্মীরে এ অশান্তির ছড়ানোর পিছনে মদদ রয়েছে পাকিস্তানের। কিন্তু ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে এই দাবি নাকচ করা হয়। এনডিটিভি, বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।