Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মদিনার গবেষকরা করোনা চিকিৎসায় সফল!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০২০, ১১:৪০ এএম

কালোজিরা এবং চামেলি করোনা সংক্রমণ বন্ধ করে দিতে সক্ষম। আল্লাহর রহমতে, যেসব করোনা রোগীদের তাবিয়াহ ইউনিভার্সিটির চিকিৎসা পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তাদের সবাই সেরে উঠছে, তারা নিজেদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত বললেন ডা. সালেহ মুহাম্মদ।


সৌদি আরবের মদিনার তাইবাহ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দাবি করেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সফলভাবে চিকিৎসা করেছেন তারা। এজন্য কালোজিরা ব্যবহার করা হয়েছে; যা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দেখানো চিকিৎসা পদ্ধতি।

ওই গবেষকদলের গবেষণাপত্র ছাপা হয়েছে মার্কিন জার্নাল ‘পাবলিক হেলথ রিসার্চ’-এ। আর সেটা যে কেউ চাইলেই দেখতে পারবে।

মুসলিম ইঙ্ক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে- হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কালোজিরা হলো সর্বরোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার ওষুধ। তবে বিষ ছাড়া। আয়েশা (রা.) জিজ্ঞেস করেছেন, বিষ কী? রাসূল (সা.) বলেছেন, মৃত্যু। (সহীহ বুখারি-৫৩৬৩)

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে সারিয়ে তোলার জন্য গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন-

দুই গ্রাম কালোজিরা, এক গ্রাম চামেলি ফুল, এক চামচ মধু একত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে খেতে হবে। এসব খাওয়ার পর জুস কিংবা একটি কমলা খাওয়া যেতে পারে। লেবু খেতে পারলে ভালো হয়। এভাবে প্রতিদিন একবার করে খেতে হবে। করোনামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এভাবে খেতে হবে।

গবেষকরা আরো বলছেন, রোগী আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হলে প্রথম সপ্তাহে দিনে পাঁচবার এভাবে খেতে হবে। আর পরবর্তী সময়ে মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দিনে একবার করে খেতে হবে।

রোগীর যদি কাশি বেশি হয় এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তাহলে কালোজিরা এবং লবঙ্গ মেশানো পানি গরম করে ধোঁয়া নাক দিয়ে টেনে নিতে পারেন। কিংবা কালোজিরা ও চামেলি পানিতে গরম করেও বাষ্প টেনে নিতে পারেন।

গবেষকরা বলছেন, যদি অক্সিজেনের অভাব হয়, তাহলে এক চামচ কালোজিরা, এক চামচ চামেলি এবং এক কাপ পানি একটি পাত্রে নিয়ে হালকা গরম করতে হবে। এভাবে দিনে পাঁচ থেকে ছয়বার পানি গরম করে বাষ্প নাক দিয়ে টেনে নিতে হবে।

জানা গেছে, সৌদি আরবের তাবিয়াহ ইউনিভার্সিটির মেডিসিন অনুষদের ক্লিনিক্যাল বায়োক্যামিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার মেডিসন বিভাগের গবেষকরা এ নিয়ে গবেষণা করেছেন।

গবেষকদের একজন ডা. সালেহ মুহাম্মদ বলেন, কালোজিরা এবং চামেলি করোনা সংক্রমণ বন্ধ করে দিতে সক্ষম। আল্লাহর রহমতে, যেসব করোনা রোগীদের তাবিয়াহ ইউনিভার্সিটির চিকিৎসা পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তাদের সবাই সেরে উঠছে, তারা নিজেদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। এই পদ্ধতিতে রোগীদের সেরে উঠতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগছে না।

সূত্র : মুসলিম ইঙ্ক



 

Show all comments
  • Mahbub ১৪ জুন, ২০২০, ১১:৫৬ এএম says : 0
    Chanel fulltar Arabic Nam ki?
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Ahad ১৪ জুন, ২০২০, ১২:৩০ পিএম says : 0
    Alhamdulillah
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Ahad ১৪ জুন, ২০২০, ১২:৩০ পিএম says : 0
    Alhamdulillah
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Nure Alam ১৪ জুন, ২০২০, ১:২৮ পিএম says : 0
    আর্টিকেলটিতে বলা হয়েছেঃ ওই গবেষকদলের গবেষণাপত্র ছাপা হয়েছে মার্কিন জার্নাল ‘পাবলিক হেলথ রিসার্চ’-এ। আর সেটা যে কেউ চাইলেই দেখতে পারবে। প্রশ্ন হচ্ছেঃ যে কোনো গবেষণালব্ধ কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি বা ঔষধের অনুমোদনের জন্য ঐ গবেষণার বৈজ্ঞানিক ব্যাখা দিতে হয়। এই চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যাপারে সেরকম কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে কিনা? যদি দিয়ে থাকে আর সেটি যদি আপনাদের সংগ্রহে থাকে তাহলে তা আমাদেরকে যদি জানাতেন।
    Total Reply(0) Reply
  • saif ১৪ জুন, ২০২০, ২:২৪ পিএম says : 0
    কালো জিরার কথা এই জন্যে বিশ্বাস করছি যে এটা প্রীয় নবী (সাঃ) এর পবিত্র জবান মোবারকের কথা। বাকি থাকলো বিজ্ঞান প্রেমীদের বিজ্ঞানের বিশ্লেষন, তাদেরকে বলবো ভাই আপনার যেহেতু বিজ্ঞণ মানষিকতা সেহেতু নিজেই গবেষনা করে দেখেনিন।
    Total Reply(0) Reply
  • biplob ১৪ জুন, ২০২০, ৪:৫৪ পিএম says : 0
    what about chameli?
    Total Reply(0) Reply
  • ওমর খালেক ১৪ জুন, ২০২০, ৬:১৯ পিএম says : 0
    Alhamdulilla,,,, Mohammad (Sw) is the best Doctor of whole world...
    Total Reply(0) Reply
  • KAZI RASHEL ১৪ জুন, ২০২০, ১০:২৩ পিএম says : 0
    আল্লাহর রাসূল যা বলে গেছেন তা আমাদের জন্য উপকারী এবং বাস্তবসম্ম। আল্লাহ সবাইকে করোনা থেকে রক্ষা করুন,আমিন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ