মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলকে বর্ণবাদী উল্লেখ করে তার ভাস্কর্য ভাঙার হুমকি ‘অযৌক্তিক’ ও ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। অতীতের নেতাদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ঘৃণা ও যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যায় ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ নিয়ে এই প্রথম সরাসরি মন্তব্য করলেন তিনি।
গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা শহরের মেনিয়াপোলিসে পুলিশ হেফাজতে মারা যান আফ্রিকান আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড। এরপর পুরো যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্বে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। আন্দোলনকারীরা গত রোববার ব্রিটেনের সংসদ চত্বরে অবস্থিত উইনস্টন চার্চিলের ভাস্কর্যে সবুজ রঙ স্প্রে করে তাকে বর্ণবাদী আখ্যা দেন। ওই দিন ব্রিস্টলে আন্দোলনকারীরা সপ্তদশ শতকে দাস ব্যবসা করে লাভবান হওয়া এডওয়ার্ড কোলস্টনের ভাস্কর্যও ভেঙে ফেলেন। আন্দোলনকারীদের হুমকির পর কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের ভাস্কর্যটি ঢেকে দিয়েছে।
এ ঘটনায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন টুইটারে লেখেন, সহিংস আন্দোলনকারীদের কারণে আজ জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ হামলার আশঙ্কায় পড়ার বিষয়টি অযৌক্তিক ও লজ্জাজনক। পরিকল্পিত আন্দোলন এড়িয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হ্যাঁ, তিনি মাঝে মাঝে এমন কিছু মতামত দিয়েছেন যা আজ আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, তখনও ছিল না। কিন্তু তিনি একজন বীর ছিলেন এবং তার স্মৃতিস্তম্ভ থাকা অযৌক্তিক কিছু নয়। আমরা এখন আমাদের অতীত পরিবর্তন করতে বা বাদ দিতে পারি না। আমরা অন্যরকম ইতিহাসের ভান ধরতে পারি না।
যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জনসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী চার্চিলের একজন ভক্ত ও জীবনীকার। বরিস জনসনের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন জানান, তিনি তাকে অনুকরণ করতে চান। জনসন জানিয়েছেন তিনি আন্দোলনকারীদের অবিচারের অনস্বীকার্য অনুভূতির কথা শুনছেন। তবে দ্বিতীয় দফায় করোনার সংক্রমণ এড়াতে আন্দোলনকারীদের সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। বরিস জনসন বলেন, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে এই দেশ (যুক্তরাজ্য) যতটা অগ্রসর হয়েছে তা অনেক। আমরা স্বীকার করি যে, আরো অনেক কিছু করার আছে। কিন্তু এটি স্পষ্ট যে, এই আন্দোলন এখন উগ্রপন্থীদের হাতে চলে গিয়েছে, যাদের উদ্দেশ্য সহিংসতা সৃষ্টি করা। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।