পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এবং ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আইন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
শনিবার (১৩ জুন) পৃথক পৃথক শোক বার্তায় তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবার ও অনুসারীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
শোক বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গণমানুষের নেতা মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে দেশ একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদকে হারালো। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো তা অপূরণীয়। জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর সুযোগ্য পুত্র মোহাম্মদ নাসিম এদেশের রাজনীতিতে যে অবদান রেখেছেন তা বাঙালি জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।’
গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘দেশ প্রেমিক নেতা মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের ধারক ও বাহক। তিনি সারা জীবন অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। এদেশের রাজনীতিতে তার অবদান বাঙালি জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।’
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক কর্মময় জীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিম আজীবন দেশ ও মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে গেছেন । তার মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। দেশ ও সমাজের উন্নয়নে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার ভরে স্মরণ করবে।’
জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে দেশ এক বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হারালো। তিনি আজীবন দেশর মানুষের জন্য রাজনীতি করে গেছেন।’
শোক বার্তায় পরিবেশমন্ত্রী জানান, মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অধিকারী। আজীবন দেশ ও মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন এ জনদরদী মহান রাজনীতিবিদ। তার মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। জনসেবা, দেশ ও সমাজের উন্নয়নে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শোক বার্তায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, মোহাম্মদ নাসিম বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অধিকারী ছিলেন। তার মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। জনসেবা, দেশ ও সমাজের উন্নয়নে তার অবদান জাতি চিরজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের রাজনীতি ও সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মোহাম্মদ নাসিমের রয়েছে অপরিসীম অবদান। তার মৃত্যুতে দেশ ও জনগণের জন্য নিবেদিত সত্যিকারের রাজনীতিবিদকে হারালাম। যা দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ শোক বার্তায় বলেন, 'মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত হার মেনে আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন নাসিম ভাই। মোহাম্মদ নাসিম বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক কিংবদন্তী নাম। তার মৃত্যু বাংলাদেশের রাজনীতিতেই বিশাল এক শূন্যতা তৈরি করলো। ৭৫’র পর সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে দলকে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত করতে চষে বেড়িয়েছেন দেশের প্রতিটি জায়গাতে। মানুষের অধিকার আদায়ে কখনও পিছপা হননি। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের সময় পুলিশি নির্যাতনের মুখেও কখনও রাজপথ ছাড়েননি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়তে নাসিম ভাই সব সময় সক্রিয় থেকেছেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'বর্ণিল রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে যে রাজনৈতিক শূন্যতা হলো, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও বাংলাদেশ গঠনে তার অগ্রনী ভূমিকা বাঙালি জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।'
প্রসঙ্গত, মোহাম্মদ নাসিম (৭২) শনিবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৪-১৮ মেয়াদে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
গত ১ জুন বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হলে ফলাফল পজিটিভ আসে। তবে সম্প্রতি মোহাম্মদ নাসিমের পরপর তিনটি করোনা টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৫ জুন ভোরে তার স্ট্রোক হয়। সেদিনই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাজিউল হকের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার হয়। এর আগেও তার একবার স্ট্রোক হয়েছিল। সব মিলিয়ে তার অবস্থা খুব সংকটাপন্ন ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।