মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অনেক দিন থেকেই ভিসা নীতিতে পরিবর্তন আনার কথা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। এবার সেটি সত্য করে ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিতে স্থগিত করা হতে পারে এইচ-১বি এবং এল-১সহ চাকরিবিষয়ক বেশ কয়েকটি ভিসা। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ভিসা নীতি পরিবর্তনের একগুচ্ছ প্রস্তাব প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। তিনি এখনো এতে স্বাক্ষর করেননি। তবে কিছুদিনের মধ্যেই এ সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা জারি হতে পারে।
দ্য ইকোনমিক টাইমস'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন নির্দেশিকা জারি হলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত এইচ-১বি নিয়ে নতুন করে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন না। তাছাড়া, নতুন এইচ-১বি ভিসার জন্য ভবিষ্যতে আরো বেশি টাকা গুণতে হতে পারে আবেদনকারীদের। বর্তমানে এক্ষেত্রে প্রসেসিং ফি বাবদ ৪৬০ মার্কিন ডলার দিতে হয়। ভবিষ্যতে তা বেড়ে ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
নতুন এই নীতিতে স্থগিত করা হতে পারে এইচ-১বি এবং এল-১সহ চাকরি বিষয়ক বেশ কয়েকটি ভিসা। বলা হচ্ছে, এইচ-১বি ও এল-১ ভিসা ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগীদের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রে চাকরিপ্রত্যাশী ভারতীয়রা। ট্রাম্প প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করলে তাতে ভারতীয়রাই সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে বর্তমানে যারা যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করছেন তাদের কোনো সমস্যা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করছে এমন কোম্পানি এবং সে দেশে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে এই দু’টি ভিসাই সর্বাধিক জনপ্রিয়। এছাড়া গ্রিনকার্ড প্রার্থীতার জন্যেও এইচ-১বি ভিসা একান্ত প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, দক্ষ কর্মীর অভাব পূরণ করতে বিদেশিদের এইচ-১বি ভিসা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই ভিসা নিয়ে বহু ভারতীয় নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলোতে কাজ করছেন। আর অভ্যন্তরীণ প্রতিষ্ঠান বদলের ক্ষেত্রে দরকার হয় এল-১ ভিসা। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মহীনের সংখ্যা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে চাকরির ক্ষেত্রে মার্কিনিরাই যেন অগ্রাধিকার পান সে কারণেই ভিসা নীতিতে পরিবর্তন আনতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।