Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফুসফুসে সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর রেমডেসিভির

কানাডায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২০, ১:০৩ এএম

করোনাভাইরাস আক্রান্তদের ফুসফুস রক্ষা করতে রেমডেসিভির ‘কার্যকর’ বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। করোনায় আক্রান্ত বানরের ওপর গবেষণা করে এই তথ্য জানা গিয়েছে। মূলত ইবোলা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসাবে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যালস গিলিয়াড প্রথম ‘রেমডেসিভির’ ওষুধ তৈরি করে। এদিকে, কানাডার অ্যালবার্টা প্রদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে অনুমতি দেয়া হয়েছে।

নেচার জার্নালে রেমডেসিভির নিয়ে নতুন এই গবেষণার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২টি বানরকে নতুন ভাইরাসে সংক্রমিত করে রেমডেসিভির ইনজেকশন দেয়া হয়। এদের মধ্যে অর্ধেককে সংক্রমণের শুরুর দিকে এই ওষুধ প্রয়োগ করে চিকিৎসা শুরু করা হয়। তবে রেমডেসিভির দেয়ার পর কোনো বানরের শ্বাসযন্ত্রের রোগের লক্ষণ দেখা যায়নি। একই সঙ্গে তাদের ফুসফুসের ক্ষতি কমিয়েছে ওষুধটি। এ ছাড়া রেমডেসিভিরে চিকিৎসা দেওয়া প্রাণীদের ফুসফুসে ভাইরাসও কম পাওয়া গেছে ।

গবেষকদের পরামর্শ, করোনা পজিটিভ হওয়ার পর নিউমোনিয়া প্রতিরোধে রোগীদের যত দ্রæত সম্ভব রেমডেসিভির দেয়া উচিত। রেমডেসিভিরই একমাত্র ওষুধ যেটি এখন পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধে মানুষের শরীরে কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ এই ওষুধটি ব্যবহার করছে। এতদিন বলা হচ্ছিল, রেমডেসিভির ব্যবহারে সুস্থতার সময় কমে আসে। অর্থাৎ অন্য ওষুধ ব্যবহারে কোভিড - ১৯ রোগী যে সময়ে সুস্থ হন, তার থেকে এই ওষুধে কম সময় লাগে। গত এপ্রিল মাসে মার্কিন বিজ্ঞানীরা প্রথম এ ব্যাপারে তথ্য দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময় কোনো মেডিকেল জার্নাল থেকে একাডেমিক বৈধতা দেয়া হয়নি। এই প্রথম এর একাডেমিক বৈধতা দেয়া হয়েছে।

এদিকে, করোনা সংক্রমণ কমে আসায় কানাডায় লকডাউন ধাপে ধাপে শিথিল করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে অ্যালবার্টা প্রদেশে পাবলিক লাইব্রেরি, সিনেমা থিয়েটার ও কমিউনিটি হলসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হচ্ছে। সেখানে কিন্ডারগার্টেন থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ডিপ্লোমা পরীক্ষা এবং গ্রীষ্মকালীন স্কুলগুলোও খুলতে অনুমতি দেয়া হয়েছে।

কানাডায় করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ৭ হাজার ৮৯৭ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ হাজার ৬৫৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৫ হাজার ৫৭২ জন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও কানাডায় কমতি নেই। কোভিড-১৯ রোগে কুইবেকের মন্ট্রিয়ল এবং অন্টারিওর টরন্টো শহরেই মৃত্যু হয়েছে বেশি। তবে অর্ধেকের চেয়ে বেশি মারা গেছে কুইবেক প্রদেশে। কানাডার ভ্যাংকুভারে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনায় মারা গেলেও এখন ভ্যাংকুভার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তুলনামূলকভাবে ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় মৃতের সংখ্যা অনেক কম। কানাডার ভ্যাংকুভারে শহরে টানা চতুর্থ দিনের মতো কোনো মৃত্যু নেই। এ শহরে মারা যাওয়া বেশিরভাগই ওল্ড কেয়ার হোমগুলোর বয়স্ক ব্যক্তি।

দেশটির কয়েকটি প্রদেশে খেলাধুলার ওপর থেকেও আংশিক বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ইনডোর ইভেন্টের জন্য ৫০ জন এবং আউটডোর ইভেন্টে ১০০ জন অংশ নিতে পারবে। কানাডায় বিভিন্ন প্রদেশে মসজিদে জুমার নামাজসহ প্রাত্যহিক নামাজও শুরু হয়েছে। এদিকে আগামী ২১ জুন কানাডা-আমেরিকার বর্ডার খুলে দেয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে পারিবারিক সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আসা-যাওয়া শুরু হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স, ন্যাশনাল পোস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ