মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রক্তের গ্রুপভেদে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার কম-বেশি হয় বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিষয়টি নিয়ে সেই মার্চ থেকে আলোচনা চলছিল।
জেনেটিং টেস্টিং কোম্পানি ২৩ অ্যান্ডমি’র গবেষকেরা ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে নিয়ে গবেষণা করে জানিয়েছেন, ‘ও’ গ্রুপ রক্তের মানুষেরা অন্যদের তুলনায় ১৮ শতাংশ কম হারে করোনা শনাক্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি এই গ্রুপের যেসব মানুষ করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন, তারা অন্য গ্রুপের থেকে ২৬ শতাংশ কম হারে পজিটিভ হয়েছেন।
‘ও’ গ্রুপের রক্তধারী যেসব চিকিৎসকেরা করোনা রোগীর সেবা করেছেন, তারা অন্য গ্রুপের ডাক্তারদের তুলনায় ১৩ থেকে ২৬ শতাংশ কম হারে আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে চীনের উহান এবং শেনঝেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা তাদের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানিয়েছেন, ‘এ’ গ্রুপের রক্তধারীদের দেহে করোনার সংক্রমণ হার সবচেয়ে বেশি এবং এর ফলে তাদের প্রাণনাশের ঝুঁকি তৈরি হয়।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা গোত্রের নতুন ভাইরাস কোভিড-১৯ দ্বারা 'এ' গ্রুপের রক্তধারী ব্যক্তিদের দেহে সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আর এই ভাইরাস মোকাবিলায় সবচেয়ে সহ্যক্ষমতা বেশি 'ও' গ্রুপের মানুষদের।
কোভিড-১৯ এর উৎসস্থল খোদ চীনের গবেষকরা এতে আক্রান্ত দুই হাজারের অধিক রোগীদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
গবেষণায় দেখা যায়, 'এ' গ্রুপের রক্তধারীদের দেহে করোনার সংক্রমণ হার শুধু বেশি নয় আক্রান্ত হলে এই রক্তের গ্রুপে করোনা প্রতিরোধের ক্ষমতাও অনেক কম। এর ফলে তাদের অধিকাংশের প্রাণনাশের ঝুঁকি তৈরি হয়।
এর আগে চীনের বিজ্ঞানীরা জানান, যেসব মানুষ কভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ২৫ শতাংশ ‘ও’ গ্রুপের। সেখানে ‘এ’ গ্রুপের ৪১ শতাংশ। পৃথিবীতে ‘ও’ গ্রুপ রক্তের মানুষের সংখ্যা বেশি, ৩৪ শতাংশ। ‘এ’ গ্রুপ ৩২ শতাংশ।
এ নিয়ে অবশ্য আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। গবেষকরা বলছেন, এটি একটি প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ এবং এখনও এই ব্যাপারে বিস্তারিত গবেষণা করা বাকি আছে।
তবে তারা নানা দেশের সরকার এবং স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার সময় তাদের রক্তের গ্রুপ বিভেদ অনুসারে চিকিৎসা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
গবেষণায় নেতৃত্বদানকারি উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ ওয়াং জিংগুয়ান বলেন, 'আমাদের প্রাথমিক গবেষণার ভিত্তিতে একটা ব্যাপার স্পষ্ট, তা হলো; 'এ' গ্রুপের রক্তধারীরা করোনা আক্রান্ত হলে তাদের প্রতি চিকিৎসকের বাড়তি নজর রাখতে হবে।'
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।