পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী ওলামা লীগের কার্যকরী সভাপতি হাফেজ আহাম্মদ আবদুস সাত্তার ও সেক্রেটারি কাজী আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলার আমল থেকে শুরু। এ জঙ্গি সন্ত্রাসী অপতৎপরতা এখন ডালপালা বিস্তার করে ভয়ানক হয়ে উঠেছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা এবং জামায়াতের মদদে জঙ্গিবাদ বাংলাদেশে স্থায়িভাবে শেকড় গাড়ে। জঙ্গিবাদের দায়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফর রহমান বাবর শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু দোষী সাব্যস্ত হয়ে এখন কারাগারে। আর জামায়াত নেতা মাও. মতিউর রহমান নিজামী বলেছিলেন বাংলা ভাই মিডিয়ার আবিষ্কার। পরে বাংলা ভাইয়ের ফাঁসিও হয়েছে। মূলত বাংলা ভাই ছিল মাও. মতিউর রহমানের তৈরি। আর এ কারণেই তিনি অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে-বলেছিলেন বাংলা ভাই মিডিয়ার তৈরি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে যদি জঙ্গিবাদকে বর্তমানের মতো গুরুত্ব দিত তাহলে জঙ্গিবাদ আজকের অবস্থায় পৌঁছতে পারতো না।
সম্প্রতি গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে জঙ্গি হামলার নেপথ্যে অনেক তথ্যই বের হয়ে আসছে। পুলিশ ও গোয়েন্দাদের সঠিক তদন্ত থাকলে এবং দুর্বলতা না থাকলে এসব তথ্য অনেক পূর্বেই বের হয়ে আসতো। এখনো প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে জঙ্গিদের মদতদাতারা ঘাপটি মেরে থেকে জঙ্গিদের গ্রেফতার না হওয়া এবং জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে অত্যন্ত গোপনে। তাই এ সবের সুষ্ঠু তদারকি না হলে আগামীতেও এরা ছাড় পেতেই থাকবে এবং মদতদাতারা নিরাপদেই থাকবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী অপকর্মের মূল পরিকল্পনাকারী জামায়াতে ইসলামী। এরা এ অপকর্মে অন্যদেরও ব্যবহার করছে। তারা মওদুদী মতবাদ প্রচারের আড়ালে ছাত্র যুবকদের জঙ্গিবাদে প্ররোচিত করছে। আর তাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার, আবাসিক বাসভবন ও মেছ থেকে জঙ্গি হামলার নির্দেশনাসহ আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে। দেশের বাইরে থেকেও জামায়াতের লোকজন বা গডফাদাররা দেশকে অকার্যকর করতে এবং সরকার হটাতে জঙ্গি হামলার খরচ যোগান দিচ্ছে। জামায়াতের অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২/১ জন করে আওয়ামী নেতাকে অংশীদারিত্ব দিয়ে দিব্বি আয়েসে ব্যবসা করে যাচ্ছে। আর ¯্রফে গার্ড দেয়া হচ্ছে আওয়ামী নেতাদের দিয়ে। ইতোমধ্যেই উল্লিখিত বর্ণনাসমূহের অনেক তথ্য উদঘাটিত হচ্ছে এবং আরো হবে। কেবল প্রয়োজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিতদের তথ্য উদঘাটনে নিয়োজিত করা এবং তাদের পেছনে গোয়েন্দা নজরদারি রাখা, যাতে তথ্য উদঘাটনে কেউ কোনো গাফেলতির আর্থিক লেনদেনের সুযোগ না পায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।