মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চেয়ে ভয়াবহ মন্দায় পড়েছে। মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন ডিসি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ১৯৩৯ সালে। সে সময় মুখ থুবড়ে পড়ে বৈশ্বিক অর্থনীতি। বিশ্বব্যাংক বলছে, বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দায় পড়েছে। সব অঞ্চলে মাথাপিছু আয় কমার পাশাপাশি বাড়ছে বেকারত্বের হাহাকার। চলতি ২০২০ সালে বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৩ শতাংশ সংকুচিত হবে। তবে পরের বছরেই অর্থাৎ ২০২১ সালেই বৈশ্বিক জিডিপি ঘুরে দাঁড়াবে। তখন জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুসারে, বৈশ্বিক অর্থনীতি এই বছর ৫ দশমিক ২ শতাংশ কমে হবে। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ভয়াবহ মন্দা। ১৮৪০ সাল থেকে মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে সব সময় ইতিবাচক ছিল, তবে এবার নেতিবাচক অবস্থায়।
অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সরবরাহ, বাণিজ্য এবং অর্থনীতির সব খাত মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। ২০২০ সালে অর্থনৈতিক কাজ ৭ শতাংশ কম হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতি (ইএমডিই) এবছর ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমবে। যা গত ৬০ বছরে হয়নি। মাথাপিছু আয় ৩ দশমিক ৬ শতাংশ কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা এই বছর লাখ লাখ লোককে চরম দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেবে। বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য, পর্যটন, পণ্য রপ্তানি এবং যেখানে বৈদেশিক অর্থায়নের নির্ভরতা রয়েছে সেখানে মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছে। বিদ্যালয়ের পড়াশোনায় বাধা ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় মানুষের টাকা খরচে স্থায়ী প্রভাব পড়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট সায়লা পাজারবাসিয়োগলু বলেন, ‘কোভিড-১৯ গভীরভাবে বিশ্বকে সংকটে ফেলে দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। আমাদের ব্যবসার প্রথম আদেশ হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক জরুরিভাবে সমাধান করা। এর বাইরে আরও বেশি মানুষ দারিদ্র্য ও বেকারত্বের কবলে পড়বে।’ বিশ্বব্যাংক আরো জানায়, বৈশ্বিক অর্থনীতি অত্যন্ত অনিশ্চিত এবং নেতিবাচক ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি এবছর ৪ শতাংশ সঙ্কুচিত হতে পারে।
এদিকে, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে মারাত্মক সংকুচিত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) আগের প্রাক্কলনের চেয়ে অনেক কমে ১ দশমিক ৬ শতাংশ হারে বাড়তে পার বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।