মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে ভারত হঠাৎ করে লকডাউন করায় সেখানকার পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্গতির শেষ ছিলো না। কেউ পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে গিয়ে রাস্তায় মারা গিয়েছেন। ট্রেনের তলায়পিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন ১৬ জন শ্রমিক। যারা ৪৫ কিলোমিটার হেঁটে ক্লান্ত হয়ে অচেতনভাবে ঘুমোচ্ছিলেন। শত শত কিলোমিটার হেঁটে ক্লান্ত-শ্রান্ত অভুক্ত থেকে অবশেষে রাস্তাতেই মারা গেছেন লোক।
অবশেষে এবার সেই অভিবাসী শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে বাস, বিমান-চার্টার্ড বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করছে সেখানকার শিল্প মালিকরা।
অর্থনীতির চাকা সচল করতে লকডাউনের বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে। দেশজুড়ে উৎপাদন শুরু করেছেন বিভিন্ন শিল্প মালিকরা। নির্মাণ কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু এসব কাজই করেন অভিবাসী শ্রমিকরা।
এদের অভাবে পুরোদমে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। করোনাভাইরাসের সব কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাজ না থাকায় নিজ রাজ্যে ফিরে গিয়েছেন এমন শ্রমিকের সংখ্যা ৮০-৯০ লাখের কম নয়। কিন্তু এই ক’দিনের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে উল্টো স্রোত। শিল্প-কারখানায় উৎপাদন এবং নির্মাণকাজ শুরু করতে অভিবাসী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে ফেরাতে শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা বিমানের টিকিট, এসি ট্রেনের টিকিট, রিজার্ভ বাস পাঠিয়ে বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তর প্রদেশের শ্রমিকদের আনার ব্যবস্থা করতে শুরু করেছেন। এমনকি দ্বিগুণ বা তিনগুণ মজুরি দেয়ারও প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ফিরে আসা শ্রমিকরা করোনা ভয় উপেক্ষা করেই ফিরে যাচ্ছেন পুরনো জায়গায়। বাস ভর্তি করে কেউ যাচ্ছেন পাঞ্জাব, কেউ যাচ্ছেন দিল্লি ও মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায়। বিহারের ১৫০ জন নির্মাণ শ্রমিককে কাজে ফেরাতে চেন্নাইয়ের তিনটি নির্মাণ সংস্থা একটি চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করেছে। পাঞ্জাবের কৃষকরা লকডাউনের আগের চেয়ে তিনগুণ বেশি মজুরি দেয়ার শর্তে বিহারে বাস পাঠিয়েছেন। হরিয়ানা ও উত্তর ভারতের বিভিন্ন ছোট ব্যবসায়ীরা অভিবাসী শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে কোথাও গাড়ি পাঠিয়ে তাদের নিয়ে এসেছেন, কোথাও পাঠানো হয়েছে বিমানের টিকিট। কেরালা সরকার ঘোষণা করেছে, অতিথি শ্রমিকদের দেয়া হবে স্বাস্থ্য ও জীবন বীমা। এ ছাড়াও এই সব শ্রমিকদের জন্য প্রতি জেলায় তৈরি করা হচ্ছে আপনা ঘর আবাসন প্রকল্প। মধ্য প্রদেশের শিল্প সংস্থাগুলো অফিসার নিয়োগ করেছে গ্রাম থেকে অভিবাসী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য। মুম্বইয়ের বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থার অফিসাররা ফোনে উপার্জনের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে উঠেপড়ে লেগেছে। এই সুযোগে শ্রমিক ঠিকাদারদের দর বেড়ে গিয়েছে। তারাই অনেক জায়গায় শ্রমিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করতে তৎপর হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।