পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্যাসিনোকান্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেফতারের প্রায় ৯ মাস পর বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিআইডির পক্ষ থেকে গত রোববার বিকেলে ডিএমপির মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের (ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড) পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন। গতকাল সকালে সিআইডি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন মামলার এ তথ্য জানান।
গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে ক্যাসিনো গডফাদার যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে র্যাব। খালেদ একাধিক মামলায় এখনও কারাগারে রয়েছেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- আইয়ুব রহমান, আবু ইউনুস ওরফে আবু হায়দার, দীন মজুমদার ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজন। তবে অপর আসামিরা অর্থ পাচারে খালেদকে সহযোগিতা করেছেন বলে জানা যায়।
মামলার বাদী পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের পর সিআইডি তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্ত শুরু করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে খালেদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও চাঁদাবাজির বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর সিআইডির পক্ষ থেকে মামলা করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি করতো খালেদ। এ ছাড়া মতিঝিল ফকিরাপুলে ক্লাবে অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন। খালেদ মাহমুদ অবৈধ অর্থ জনৈক আইয়ুব রহমানকে ব্যবহার করে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে টাকা পাচার করেছেন। তদন্তকালে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের চারটি এটিএম ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়। ২০১৮ সালের মে মাসে মালয়েশিয়ার মাই ব্যাংক ও আরএইচবি ব্যাংকে হিসাব খোলেন খালেদ। এই দুটি ব্যাংকের মালয়েশিয়ায় কেএলসিসি শাখায় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট টাকা জমা দেখা যায়, ২৫ লাখ ৫৭ হাজার রিঙ্গিত। যার দুটি হিসেবে ২২ লাখ ৫৭ হাজার রিঙ্গিত এবং দুটি এফডিআরে তিন লাখ রিঙ্গিত পাওয়া যায়। তার জব্দকৃত পাসপোর্টের ভিসায় মিস মাই টু হোম লেখা আছে।
সিআইডির পক্ষ থেকে গতকাল আরো বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরে খালেদ অর্পণ ট্রেডার্স পিটিসি লিমিটেড নামে একটি ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বিপণনী প্রতিষ্ঠান খোলেন। যার রেজিস্ট্রেশন হয় ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর। ওই মাসেই সিঙ্গাপুর ইউনাইটেড ওভারসিজ ব্যাংকে তার মালিকানাধীন কোম্পানির নামে একটি হিসেব খোলেন। ওই অ্যাকাউন্টে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ লাখ ৫ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার জমা থাকার হিসাব পাওয়া যায়। এসব টাকা বাংলাদেশ থেকে আরেক আসামি আইয়ুব রহমানের মাধ্যমে হুন্ডি করে পাচার করা হয়েছে বলে উঠে আসে তদন্তে। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ব্যাংকে ২০১৮ সালে খালেদের নামে খোলা অ্যাকাউন্টে ১০ লাখ থাই বাথ জমা রাখার তথ্য পাওয়া গেছে। এসব টাকাও আইয়ুব রহমানের মাধ্যমে হুন্ডির করে পাচার করা হয়। তিন দেশের চার ব্যাংকে মোট ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা সমমূল্যের বৈদেশিক মদ্রা পাচার করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।