পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের মতো বড় বড় দুর্যোগে প্রতিবছর দেশের উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত। এসব সংস্কারে সরকারি বরাদ্দের বেশিরভাগেরই বাস্তবায়ন নেই। অথচ প্রতিবছর বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং সংস্কার বাবদ বাজেটে মোটা অংকের বরাদ্দ দেয়া হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী এবং মাঠ পর্যায়ে যে কর্মীরা কাজ করেন তারা জানিয়েছেন, সেই বরাদ্দের কোন বাস্তবায়ন তারা দেখছেন না। সে কারণে একই স্থানে বার বার বেড়িবাঁধ ভাঙছে। আর কোটি কোটি সরকারি টাকা খোয়া যাচ্ছে। গত দশবছরে এ নিয়ে দুর্নীতি বড়েছেই।
এদিকে কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণে পাঁচটি দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের প্রস্তুতি নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রকল্পগুলো অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ইতোমধ্যে সাতক্ষীরায় পানি ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের মাধ্যমে জোয়ারের চাপ ও ঝড়ো বাতাসের কারণে লবণাক্ত পানির প্রবেশ বন্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এ প্রকল্পের আওতায় ওই এলাকার ৬০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার নদী পুনঃখনন করা হবে। নদী ড্রেজিং করা হবে ২০ দশমিক ৫০ কিলোমটার। খাল পুনঃখনন করা হবে ৩৪৪ কিলোমিটার। বাঁধ পুনরাকৃতিকরণ করা হবে ১১৩ কিলোমিটার এবং ২৭টি নিষ্কাশন রেগুলেটর মেরামত ও পুনর্গঠন করা হবে।
বাংলাদেশের উপকূলীয় সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বড় ধরণের ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য উপযুক্ত নয় বলে জানিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বর্তমানে যে বাঁধগুলো রয়েছে সেগুলো নিয়মিত জোয়ার ভাটা প্রতিরোধে সক্ষম। মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার ইনকিলাবকে বলেন, সরকার প্রতিবছর যে বরাদ্দ দেয়, সেটা সামগ্রিক ১৭ হাজার কিলোমিটার বাঁধের উন্নয়নের জন্য দেয়া হয়। প্রতি অর্থবছরের বাজেটে বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার বাবদ যে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয় সেটা প্রয়োজনের দশ ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার উপক‚লীয় বাঁধ থেকে শুরু করে ৮ হাজার কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ নদী তীরবর্তী বাঁধ এবং আড়াই হাজার কিলোমিটার হাওড় অঞ্চলের ডুবন্ত বাঁধ সংস্কারে সরকারি এই অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়ে থাকে। যা প্রয়োজন সাপেক্ষে অপ্রতুল।
তিনি বলেন, প্রকল্প পাস হলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ কাজ শুরু হতে পারে এবং সম্পূর্ণ কাজ শেষ হতে তিন বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। গত ১০-১২ বছরে উপক‚লে বড় বড় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে, যা প্রতিবছর চলতে থাকবে। এ জন্য বড় উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। যেটা ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে।
উপক‚লীয় বাঁধের পরিধি ৫ হাজার ৭৫৭ কিলোমিটার। এরমধ্যে অন্তত পাঁচশ’ কিলোমিটার জুড়ে পাঁচ থেকে ছয় মিটার উঁচু বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। যেন শক্তিশালী জলোচ্ছ্বাস প্রতিরোধ করা যায়। এ জন্য কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণে পাঁচটি দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।