Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভারতে করোনা মহামারি গ্রামীণ স্বাস্থ্য সংকটে রূপান্তরিত হচ্ছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০২০, ৮:৫৫ পিএম | আপডেট : ১২:০৮ এএম, ৫ জুন, ২০২০

ভারতের সাত রাজ্য থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, গ্রামাঞ্চলগুলোতে করোনা সংক্রমণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। কারণ, বড় শহর এবং শিল্প কেন্দ্রগুলো থেকে ফিরে আসা কয়েক লাখ অভিবাসী শ্রমিক তাদের সাথে এই ভাইরাস নিয়ে গিয়েছেন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের জন্য সংক্রমণের তীব্রতা এক নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। কয়েক মাসব্যাপী লকডাউন শিথিল করায় তারা শহরগুলোতে মানুষের পরীক্ষা করতেও হিমশিম খাচ্ছেন। বুধবার ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ এখনো শীর্ষে ওঠেনি।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের করোনভাইরাস টাস্কফোর্সের একজন পরামর্শদাতা মহামারী বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক ডক্টর নমন শাহ জানান, অপ্রতুল ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য সুবিধার কারণে গ্রামীণ প্রকোপ ‘ধ্বংসাত্মক’ হতে পারে। তিনি বলেন, ‘সচেতনার অভাব, পুষ্টিহীনতা ও একটি দুর্বল স্বাস্থ্য অবকাঠামো, এগুলো মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে।’

পূর্ব বিহার রাজ্যের সরকারী তথ্যে দেখা গেছে যে, ১ জুন অবধি ৩ হাজার ৮৭২ জন শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৭৪৩ জন অভিবাসী শ্রমিকদের সাথে সম্পর্কিত ছিলেন, যারা পায়ে হেটে ঘরে ফিরতে শুরু করায় সরকারকে ট্রেন এবং বাস চালানো শুরু করতে হয়েছিল। মার্চ মাসের শেষের দিকে ভারতে সমস্ত পরিবহন স্থগিত করা হয়েছিল, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর প্রয়াসে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন।

বিহারের যারা করোনায় শনাক্ত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি এবং আরও শিল্পোন্নত মহারাষ্ট্র ও গুজরাট থেকে এসেছিলেন। বিহারের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নীতিন মদন কুলকার্নি বলেন, ‘পশ্চিম ভারত থেকে ফিরে আসা শ্রমিকরা বিহারের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী দরিদ্র রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও ব্যাপক সংক্রমণের সূত্রপাত করেছে।’ তিনি বলেন, ‘২ মে’র পরে আমাদের যত কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন, তার মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ অভিবাসী শ্রমিক।’

অভিবাসী শ্রমিকদের মাধ্যমে তাদের গ্রামেও সংক্রমণ শুরু হওয়ায়, ভারতের অনেক রাজ্য প্রকোপ কমে আসার পরেও আবার সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গের মুখোমুখি হচ্ছে। মহারাষ্ট্র রাজ্যে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ সংত্রমিত হয়েছিলেন, যা সারা দেশে মোট আক্রান্তের এক তৃতীয়াংশ। কিছু প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, তাদের রাজ্য পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হিমশিম খাচ্ছে।

সাতারার পশ্চিম জেলার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সংক্রমণের এই গতি যদি আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে অব্যাহত থাকে, তবে গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা করতে আমাদের জন্য বেসরকারী হাসপাতালগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।’ সূত্র: রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ