পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহামারী করোনার মধ্যেও মাদক পাচারকারীরা ঘরে বসে নেই। তাদের তৎপরতা দিন দিন বেড়েই চেলছে। পশ্চিম বগুড়ার সান্তাহার আদমদীঘিসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে মাদক পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পুলিশ বলছে, করোনায় পুলিশের অনেকে আক্রান্ত। আর এ সুযোগকে কাজে লাগাতে সক্রিয় মাদক পাচারকারীরা। তবে মাদকবিরোধী অভিযান থেমে নেই। স্বাভাবিক অবস্থার মতো এতোটা জোরালো না হওয়ায় সে সুযোগে আড়ালে আবডালে মাদক পাচার চলছে।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি তাদের কাছে খবর এসেছে তালিকাভুক্ত সান্তাহারের মাদক পাচারকারীর সাথে হাত মিলিয়েছে উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার পাচারকারীরা। বগুড়ার-সান্তাহার মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোকে নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার করছে।
অপরদিকে সান্তাহার রেলওয়ে জংশনকে ট্রানজিট রুট এবং পয়েন্ট হিসাবে বেছে নিয়েছে মাদক পাচারকারী চক্র। অভিনব কায়দায় বাস, ট্রেন, ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকাপভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে সান্তাহার থেকে বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল হয়ে মাদক পৌঁছে যাচ্ছে খোদ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। সূত্র জানায়, ভারত থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ ও জয়পুরহাট সীমান্ত পথে এসব মাদক প্রবেশ করছে।
এদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বগুড়া খ সার্কেল সান্তাহারের পরিদর্শক সামছুল আলম ইতোমধ্যে সান্তাহার-বগুড়া মহাসড়কের একাধিক স্থানে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেছেন। একটি বিশেষ দল নিয়ে চালানো অভিযানে ফেনসিডিল উদ্ধার এবং পাচারকারী চক্রের সদস্য মাফিজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
গত মাসের মধ্যবর্তী সময়ে সান্তাহার শহরের পোঁওতা রেলগেট এলাকা থেকে মাদক পাচারাকরী চক্রের সদস্য বিটুলকে গ্রেফতার করা হয়। মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাংকির ভেতরে লুকিয়ে নিয়মিত ফেনসিডিল পাচার করে আসছিল। গ্রেফতারের পর প্রথম অস্বীকার করলেও পরে চ্যালেঞ্জ করা হলে তেলে ট্যাংকির ভিতর থেকে নিজেই ফেনসিডিলের ৫০টি বোতল বের করে দেয়। শুধু ফেনসিডিল নয় চক্রটি ইয়াবা ট্যাবলেটও পাচার করছে। সান্তাহার শহর থেকে আরেক মোটরসাইকেলসহ চালক নাজমুলকে গ্রেফতার করা হলে ইয়াবা পাচারের তথ্য বেরিয়ে আসে। তেলের ট্যাংকির ভিতরে পলিথিনে মুড়িয়ে ইয়াবা নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেয়াই ছিল তার কাজ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ওই কর্মকর্তা এক প্রশ্নের জবাবে জানান, চক্রটি সান্তাহার-বগুড়া মহাসড়ক ব্যবহার করে মাদক পাচার করছে। চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হলেও নেপথ্যের মূল হোতাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।