পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা পরিস্থিতিতে বাস ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোকে গরিব বিরোধী পদক্ষেপ বলে বিশিষ্টজনরা মনে করেন। সরকার বাস মালিকদের স্বার্থরক্ষা করে সাধারণ গরিব মানুষদের প্রতি অন্যায় করেছে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। তারা বলেন বাস ভাড়া বৃদ্ধি শুধু অযৌক্তিক নয় এটা নিষ্ঠুরতার শামিল।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, করোনা মহামারি যখন অর্থনীতিতে ধস নামিয়ে দিয়েছে তখন বাসভাড়া হঠাৎ এক লাফে ৬০শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবতা বিবর্জিত এবং সাধারণ মানুষের প্রতি চরম অবহেলা। মহামারির বিপর্যস্ততায় মানুষ যখন দিশেহারা তখন সরকার ৬০শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করায় প্রমাণ হয় সরকার জনগণের দুঃখ দুর্দশা থেকে কত দ‚রে। করোনার মহামারির সময়ে বাসভাড়া বৃদ্ধি শুধু অযৌক্তিক নয় নিষ্ঠুরতার শামিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, বাস ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি গরিব এবং শ্রমজীবী মানুষদের প্রতি খুবই বড় একটি অন্যায় হিসেবে দেখছি। এর জন্য সরকার অবশ্যই দায়ি। পেট্রোলের দাম আন্তর্জাতিকভাবে খুবই কমেছে। অর্ধেকের বেশি কমেছে। এক্ষেত্রে সরকার দেশে পেট্রোলের দাম কমিয়ে যারা বাস মালিক আছেন তাদের বলতে পারতেন এক টাকাও ভাড়া বাড়বে না। সরকার যেটা করেছে বাস মালিকদের প্রণোদনা গরিব লোকের পকেট থেকে নিয়ে দিচ্ছে। নিজেদের প্রফিট (মুনাফা) অক্ষুন্ন রেখেছে। এটা খুবই অন্যায়। এটা হচ্ছে গরিব বিরোধী একটি পদক্ষেপ। সরকারের উচিৎ ছিল বাস মালিকদের বলা প্রতি দুই সিটের একটি খালি থাকবে। সরকারের যে গরিবের প্রতি মায়া দয়া আছে কি না এই প্যানডেমিককালে (মহামারি) এটা নিয়েও আমার সন্দেহ আছে।
লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, বাসভাড়া বাড়ানো মোটেও সঠিক হয়নি। যেহেতু অতি দরিদ্র মানুষ বাসে যাতায়াত করে। সুতরাং ভাড়া বাড়ানোটা আমি মনে করি খুবই নিষ্ঠুর একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। না বাড়ানো উচিত ছিলো। একেতো ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি হয়েছে তার ওপর কোথাও কোথাও দ্বিগুণ বাস ভাড়া নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এটা শুধু বেআইনি নয় আমি মনে করি, মানুষের ওপর এই বড় দুর্দিনে যখন মানুষের রুজি রোজগার কম তখন ভাড়া বাড়ানোটাই অনুচিত হয়েছে। তারপরে যখন ভাড়া বেশি অর্থাৎ দ্বিগুণ নিচ্ছে এটা সম্প‚র্ণ নিষ্ঠুরতা। এবং অবিলম্বে এ বিষয়ে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, করোনা মহামারিকালে বাসভাড়া বৃদ্ধি অযৌক্তিক। এসময় বাসভাড়া না বাড়িয়ে সরকার জ্বালানি মূল্য কমাতে পারতো। বাসভাড়া বৃদ্ধি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। করোনা পরিস্থিতিতে জনজীবন বিপর্যস্ত তার উপর বাড়তি ভাড়া অযৌক্তিক। সরকার কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেই এর সমন্বয় করতে পারতো। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। সরকার বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তেলের মূল্য সমন্বয় করলে বাড়তি ভাড়ার প্রয়োজন হতো না।
স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, বাস ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো গরিবের উপর জলুম। এটা ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’। করোনা মহামারিতে এমনিতেই গরিব মানুষের আয় উপার্জন নেই। মানুষ না খেয়ে আছে। মধ্যবিত্ত অনেক পরিবার দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। এ অবস্থায় বাস ভাড়া বাড়ানো অন্যায় ও অযৌক্তিক। সরকার জনগণের দু:খ দুর্দশাকে উপেক্ষা করে বাস মালিকদের স্বার্থরক্ষা করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।