নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অনুশীলনে সবচেয়ে একাগ্র আর পরিশ্রমী হিসেবে মুশফিকুর রহিমের নামটি সবার আগেই রাখেন বাংলাদেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত ১৯ মার্চ থেকে দেশে সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ আছে। সেই মুশফিক তাই এখন ঘরবন্দী। অস্তির এই সময়টাকে পেছনে ফেলে ক্রিকেটে ফিরতে ‘সঠিক সময়ের’ অপেক্ষায় বিসিবি। তবে তর সইছে না অভিজ্ঞ এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের।
দলীয় অনুশীলন বর্তমান বাস্তবতায় অনেক দূরের পথ। মুশফিক তাই চেয়েছিলেন মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এককভাবে অনুশীলন শুরু করতে। ব্যক্তিগতভাবে বিসিবিকে অনুরোধও করেছিলেন তিনি। তবে সেটিকে আমলে নেয়নি বোর্ড। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করেই শেষ পর্যন্ত তিনি সরে এসেছেন অনুশীলন শুরুর ভাবনা থেকে, ‘ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা মানেই কঠিন এক কাজ। কিন্তু মন তো মানে না। তাই নিজের মতোই আনুশীলন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু উনারা বলার পর আমিও বুঝতে পেরেছি। মিরপুর এলাকার অবস্থা খুব ভালো নয়। মাঠকর্মীসহ আরও যারা থাকবেন অনুশীলনে, সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রাখাও কঠিন হবে। তাছাড়া আমাকে তো আবার বাসায় ফিরতে হবে অনুশীলন করে। পরিবারের সবার জন্যও ঝুঁকির হয়ে যায় সেটি। সব মিলিয়ে ভেবে দেখলাম, ব্যাপারটা এই মুহূর্তে হয়তো ঠিক হবে না। উনারা বলেছেন, সামনে পরিস্থিতি এলে সবকিছু জীবাণুমুক্ত করে, সবার টেস্ট করিয়ে অনুশীলন শুরুর ব্যবস্থা করা হবে। আপাতত আরও অপেক্ষা করি।’
তবে পরিস্থিতি অনুক‚লে এলে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করে তবেই সবাইকে অনুশীলনের অনুমতি দিতে চায় বোর্ড। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি বলেন, ‘কাউকে একা অনুশীলনের অনুমতি দেওয়া মানে তো শুধু একার ব্যাপার নয়। মাঠ ও উইকেট প্রস্তুত করার লোক রাখতে হবে, সাহায্য করার জন্য কয়েকজন লাগবে, নেট বোলার লাগবে। আরও কিছু পারিপার্শ্বিকতা আছে। সব মিলিয়ে ব্যাপারটা ঝুঁকির হয়ে যায়। এটা আসলে অনুমতি না দেওয়ার ব্যাপার নয়। আমরা পরিস্থিতি তুলে ধরেছি, মুশফিক তো খুবই সেন্সিবল, সে ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে। যখন সময় হবে, সবার জন্য একইরকম নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করে অনুশীলনের ব্যবস্থা করব আমরা।’
সেই অপেক্ষা কতদিনের, জানা নেই কারও। তবে মুশফিকের কথায় ইঙ্গিত মিলল, সপ্তাহ দুয়েক পর হয়তো পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা হতে পারে, ‘একটা ব্যাপার হলো, করোনার প্রকোপ পুরোপুরি শেষ হওয়া পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব কিনা। শেষ কবে হবে, কেউ জানে না। কয়েক মাস তো বটেই ২-১ বছরও লেগে যেতে পারে। কাজেই আমাদের কোনো একটা ব্যবস্থা করতেই হবে। তবে এখনও আমাদের দেশের যা অবস্থা, তাড়াহুড়ো না করাই ভালো। অন্তত আরও ১৪-১৫ দিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তার পর ভেবে দেখা যেতে পারে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।