পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইতিহাসের সর্বাধিক ব্যয়বহুল সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার ৫৫ কিলোমিটার ভাঙ্গা-মাওয়া-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে এবং প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষে পদ্মা সেতুর সুফল পেতে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সাড়ে ৩ কোটি মানুষকে অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষা করতে হতে পারে। রাজধানী থেকে দু’টি সার্ভিস লেনসহ ৬ লেনের ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে ধরে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত পৌঁছার পরে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার মহাসড়কগুলোর অবস্থা এখনো মানসম্মত নয়। ভাঙ্গা জংশন থেকে বরিশাল বিভাগের ৬টি, খুলনা বিভাগের ১০টি এবং ফরিদপুর অঞ্চলের ৫টি জেলার গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়কগুলোর উন্নয়ন এখনো নানা পরিকল্পনায় আবদ্ধ।
ভাঙ্গা থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে বরিশাল, ৯৩ কিলোমিটার পশ্চিমে যশোর, ১৩৪ কিলোমিটার পশ্চিমে বেনাপোল স্থলবন্দর, ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে পায়রা ও ২০৩ কিলোমিটার দক্ষিণে কুয়াকাটায় পৌঁছার সড়ক-মহাসড়কের বেশিরভাগের অবস্থাই ক্রমে খারাপ হচ্ছে। এসব মহাসড়ক এখনো মাত্র ১৮ ফুট থেকে ২৪ ফুট প্রস্থ। ভাঙ্গা থেকে ১২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে খুলনা ও ৬৭ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণে গোপালগঞ্জ মহাসড়কটিও ৩০ ফুট প্রস্থ। এমনকি ভাঙ্গা-ফরিদপুর মহাসড়কটিও মাত্র ১৮-২৪ ফুট প্রস্থ। ঢাকা-ভাঙ্গা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কের ভাটিয়াপাড়া থেকে নড়াইল হয়ে যশোরের মহাসড়কটি এখনো মাত্র ১৮ ফুট প্রস্থ। বরিশালের লেবুখালী থেকে পটুয়াখালী জেলা সদর হয়ে পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা মহাসড়কটিরও একই অবস্থা।
এসব মহাসড়কগুলো ৬ লেনে উন্নীত করার একাধিক প্রকল্প প্রাথমিক পর্যায়ে। এর মধ্যে ফরিদপুর-কুয়াকাটা মহাসড়কটি ৪ লেনে উন্নীতকরণের লক্ষে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় ইতোমধ্যে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষাসহ বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ প্রকল্পটিতে এখনো দাতা মেলেনি। তবে দেশিয় অর্থে ভ‚মি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে। অর্থের সংস্থান না হওয়ায় মহাসড়কটি প্রাথমিক পর্যায়ে ফরিদপুর থেকে বরিশাল পর্যন্ত ১২৪ কিলোমিটার ৬ লেনে উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কিন্তু বরিশাল মহানগরীর অভ্যন্তরে ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পূর্বের এলাইনমেন্ট সংশোধন করে বাইপাস নির্মাণসহ মহানগরীর অভ্যন্তরভাগে মহাসড়কটি ‘মানসম্মতভাবে উন্নয়ন’র প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এ জন্য নতুন করে বাইপাসের সম্ভাব্যতা সমীক্ষাসহ বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন এবং ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে। তবে সব কিছুর আগে দাতা সংগ্রহই মূল লক্ষ্য বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে ভাঙ্গা থেকে ভাটিয়াপাড়া হয়ে যশোর-বেনাপোল পর্যন্ত মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীত না করলে পদ্মা সেতুসহ সদ্য নির্মিত এক্সপ্রেসওয়ের সুফল মানুষের ভাগ্যে জুটবে না। ওই মহাসড়কের গোপালগঞ্জ ও নড়াইলের মধ্যবর্তী কালনায় মধুমতি নদীর ওপর জাপানী অর্থে প্রায় ৯শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ৬ লেন সেতু নির্মাণাধীন রয়েছে।
সড়ক অধিদফতরের দায়িত্বশীল সূত্র মতে, ইন্ডিয়ান লাইন অব ক্রেডিট এর আওতায় বেনাপোল-যশোর-ভাটিয়াপাড়া-ভাঙ্গা অংশের মহাসড়কটি উন্নয়নের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রায় শেষ। সমীক্ষা ও বিস্তারিত নকশার পরে বৈদেশিক অনুদান বা ঋণ পাওয়া গেলেই মহাসড়কটিও ৬ লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। এ মহাসড়ক উন্নয়নে ভারতীয় ঋণ পাবার যথেষ্ট সম্ভবনা রয়েছে।
অপরদিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের অবশিষ্ট ভাটিয়াপাড়া-গোপালগঞ্জ-খুলনা অংশের প্রায় ৮৫ কিলোমিটার মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীত করার লক্ষ্যেও সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও নকশা প্রণয়নের প্রাথমিক পদক্ষেপ চূড়ান্ত পর্যায়ে বলে জানা গেছে। তবে এ প্রকল্পেও কোন দাতা মেলেনি।
সড়ক অধিদফতরের একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, ফরিদপুর-বরিশাল-পায়রা বন্দর-কুয়াকাটা, ভাঙ্গা-ভাটিয়াপাড়া-নড়াইল-যশোর-বেনাপোল, ভাটিয়াপাড়া-গোপালগঞ্জ-খুলনা/মোংলা মহাসড়কগুলো ৬ লেনে উন্নীত করতে না পারলে পদ্মা সেতুসহ ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের তেমন কোন সুফল দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় সাড়ে ৩ কোটি মানুষের ভাগ্যে নাও জুটতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।