গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানী ঢাকার ২১৬ এলাকায় শনাক্ত হয়েছে করোনা রোগী। এর মধ্যে ৯টি এলাকায় শনাক্ত হয়েছে দুই শতাধিক। একশ’র বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ১২টি এলাকায়। সংক্রমণে ঠেকাতে সারা দেশকে তিন ধরনের জোনে ভাগ করার সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে সুফল মিলবে বলে আশা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
টোলারবাগ, বাসাবো, ওয়ারি রাজারবাগ ছাড়িয়ে করোনার বড় ঢেউ এখন রাজধানীর মহাখালীতে। সেমাবার ৮৬তম দিনে এসে বলা হচ্ছে সারা দেশকে ঝুঁকি বিবেচনায় তিনটি জোনে ভাগ করা হবে। প্রশ্ন এই জোন কতটুকু কার্যকর হবে করোনার সামাজিক সংক্রমণ ঠেকাতে এই নিয়ে প্রশ্ন আছে।
ঢাকায় করোনা সংক্রমণ আলোচনায় আসে উত্তর টোলারবাগে পরপর দুটি মৃত্যুর ঘটনায়। লকডাউন করা হয় এলাকাটি। পর্যায়ক্রমে এখন তা ছড়িয়েছে পুরো ঢাকায়। দেশে করোনাভাইরাসের ভরকেন্দ্র রাজধানী ঢাকা।
ঢাকা মহানগরীর ২১৬টি এলাকায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মহাখালীতে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাটিতে এখন রোগীর সংখ্যা ৪০৮ জন।
ঢাকার ৯টি এলাকায় ২০০’র বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। যাত্রাবাড়িতে ৩৪০, মুগদায় ৩২৭, মোহাম্মদপুরে ৩১৩, মিরপুরে ৩৪৫, কাকরাইলে ২৯৯, মগবাজারে ২১৯, রাজারবাগে ২১৪, উত্তরায় ২৮৩ এবং তেজগাঁওয়ে ২০৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। ১০০’র বেশি রোগী আছে ১২টি এলাকায়। এর মধ্যে আছে ধানমন্ডি, লালবাগ, খিলগাঁও, মালিবাগ, গুলশান, বাড্ডা, বাবুবাজার, বংশাল, বাসাবো, গেন্ডারিয়া, রামপুরা এবং ওয়ারি।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে টোলারবাগ মডেল অনুসরণের পরামর্শ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় সারাদেশকে তিন ধরনের জোনে ভাগ করার যে সিদ্ধান্ত তা বাস্তবায়ন করতে পারলে সুফল পাওয়া যাবে। দ্রুত জোন ভাগ করে সবাইকে কঠোর স্বাস্থবিধির আওতায় নিয়ে আসার তাগিদ তাদের। আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, জনসংখ্যার অনুপাত এবং করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনা করে জোন ভাগ করার কাজ চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।