মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লাশ রাখার আর জায়গা নেই হাসপাতালগুলোতে। সংরক্ষণেরও ব্যবস্থা নেই। স্বজনরাও নিচ্ছেন না। কিছু লাশে পচনও ধরেছে। এ অবস্থায় চিকিৎসক ও নার্সদেরও নাভিশ্বাস উঠেছে। লাশের পাশ রেখেই চলছে করোনা রোগীর চিকিৎসা। এটি ভারতের রাজধানী মুম্বাইয়ের হাসপাতালের চিত্র।
খুব দ্রুততার সঙ্গে বিশ্বের পরবর্তী করোনাভাইরাসের ভয়াবহ বিপর্যয়ের স্থানে পরিণত হতে চলেছে ভারতের সবচেয়ে ধনী শহর মুম্বাই। ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত মুম্বাইয়ে করোনার ভয়াবহ প্রকোপ চলছে। দেশটির মোট করোনা রোগীর এক চতুর্থাংশই মুম্বাইয়ের, বর্তমানে ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রোগীতে উপচে পড়ছে শহরের হাসপাতালগুলো। মর্গে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। তাই মৃতদেহ ওয়ার্ডেই বেডের ওপর রেখে দেয়া হয়েছে। তার পাশেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে আক্রান্ত রোগীদের।
স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে। হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে সারি সারি লাশ পড়ে আছে। শয্যা সঙ্কটে রোগীদের মেঝেতে ঘুমানোর নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাস আক্রান্ত কিনা সেব্যাপারে প্রমাণ দেখাতে না পারায় বিনা-চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন রোগীরা। প্রত্যেকদিন নতুন নতুন ওয়ার্ড করা হচ্ছে। কিন্তু সন্ধ্যা হতে না হতেই সেসব ওয়ার্ড করোনা রোগীতে ভরে যাচ্ছে।
মুম্বাইয়ের হাসপাতালের কর্মীরা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা করোনা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ায় জনবলের অভাবে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসাসেবাও বন্ধ হয়ে গেছে।
সেন্ট্রাল মুম্বাইয়ের সরকারি কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সাদ আহমেদ বলেন, 'আমরা প্রত্যেকদিন নতুন নতুন ওয়ার্ড চালু করছি। কিন্তু দিনের শেষে কভিড-১৯ রোগী দিয়ে সেগুলো পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এখানে অত্যন্ত খারাপ অবস্থা। হাসপাতালের সব ওয়ার্ডই কভিড-১৯ ওয়ার্ড এবং ধারণক্ষমতার পুরোটাই রোগী দিয়ে পরিপূর্ণ।
মুম্বাই শহরে কমপক্ষে ৪৭ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ হাজার ২০০ জন। ভারতে যে পরিমাণ মানুষ মারা গেছেন তার মধ্যে এক চতুর্থাংশ এই মুম্বাইয়ে। প্রতিদিন হাজার হাজার না হলেও শত শত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিও প্রকাশ হয়। তাতে দেখা যায়, করোনা রোগীরা ভর্তি আছেন, চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন ওয়ার্ডে বিছানার ওপর পড়ে আছে সারিবদ্ধ মৃতদেহ। এসব মৃতদেহ কোথায় রাখা হবে তা নিয়ে হাসপাতালগুলোই শুধু হিমশিম খাচ্ছে এমন নয়। একই অবস্থা দাহ করার স্থানগুলো এবং মর্গেও। এতে স্বাস্থ্যখাতের কি অবস্থা তা পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে। চিকিৎসক ও নার্সদেরও নাভিশ্বাস উঠেছে এ অবস্থায়।
মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালের আইসিইউয়ের প্রধান শ্রুতি ট্যান্ডন বলেছেন, 'আমি যে হাসপাতালে কাজ করি, তাতে কোনো মর্চুয়ারি নেই। দু’জন মানুষ মারা গেছেন। কিন্তু পরের দিন সকাল না হওয়া পর্যন্ত সেই মৃতদেহ বেডের ওপরই পড়ে ছিল। কারণ, ওই মৃতদেহ দাহ করতে না নেয়া পর্যন্ত তা সরানো যাচ্ছিল না। সব দিক দিয়েই আমরা চাপে রয়েছি। এ এক ভয়াবহ অবস্থা।'
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস,এবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।