বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শ্রীনগরে জানালা ভেঙ্গে ঘরে ডুকে ছাত্রীকে হাত বেঁধে ধর্ষণ ঘটনা অভিযোগ উঠেছে। এক স্কুল ছাত্রীর (১৬) ধর্ষণের চিত্র ফেসবুকে ভাইরাল করে দিয়েছে ধর্ষক শান্ত (২৪)। ধর্ষক শান্ত উপজেলার শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের সেলামতি হাজী বাড়ির হাসেম খলিফার ছেলে। ফেসবুকে ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ার পরে ওই ছাত্রীর পরিবার জানতে পারে। পরে মেয়েটি ঘটনার বিষয়টি পরিবারের কাছে ঘটনা খুলে বললে। এতে শান্ত ক্ষিপ্ত হয়ে গত রোববার সন্ধ্যার দিকে প্রায় ১৬/২০ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। পরে এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহযোগিতায় শ্রীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে শান্ত ও তার লোকজন চাইনিজ কুরাল ও লাঠিশোঠা ফেলে পালিয়ে যায়। এঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অটো চালক সোমবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক শান্ত এলাকায় কোনও কাজকর্ম করেনা। সে এলাকায় মাদক সেবী ও বখাটে হিসেবেই পরিচিত। এই অপকর্মের ঘটনা জানাজানি হলে রোববার সন্ধ্যায় শান্তর ও তার বড় ভাই মাসুদ (৩০) নেতৃত্বে সহযোগি সেলামতি এলাকার আজিম (২৭), আবু বখর (২৮), ইয়ামিন (২৫), আক্তার (২২), সালাউদ্দিন (৩০), ওমর ফারুক (২২), লিটন (৩০), নাজিম (২২), রায়হান (২০), রিফাত (২৮), ইমরান (১৮), মহিন (২০), স্বাধীন (৩০), সাগর (২৪), মিরাজ (১৯), শরীফ (২২) সহ প্রায় ২৫/৩০ জনের একটি দল ওই ছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা চালায়। পরে শ্রীনগর থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে এলে গ্রুপটি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ধর্ষণের স্বীকার ওই ছাত্রী স্থানীয় বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল জানায় স্থানীয়রা। ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ঘরের মধ্যে শোবার স্থানে আংশিক মোশারি টানানো অবস্থায় ছাত্রীর হাত পেছন থেকে বাঁধা। এসময় ওই ছাত্রী বার বার ধর্ষকের কাছ থেকে নিজের ইজ্জত রক্ষার চেষ্টা করছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১০/১২ দিন আগে রাতে শান্ত জানালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ওই ছাত্রীকে হাত বেঁধে ধর্ষণ করে ও ধষর্ণের চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে। এ বিষয়ে মুখ খুললে তাকে ও তার বাবা মেরে ফেলার হুমকি দেয়। কয়েকদিন পরে ধর্ষণের ভিডিও ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে শান্ত বারা বার কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। হঠাৎ করে গত ৪/৫ দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধষর্ণের চিত্র ছড়িয়ে পরলে তারা জানতে পারে। এঘটনায় ধর্ষক শান্তর সাথে যোগাযোগ করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হাকিম খানের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। ধর্ষণের চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে শান্ত চরম অন্যায় করেছে। ভোক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
এব্যাপারে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।