পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হঠাৎ অসুস্থ চট্টগ্রামের অন্যতম শিল্পপতি-ব্যবসায়ী এছহাক ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজী মোহাম্মদ ইউনুছকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা ছুটেন হাসপাতালে। নগরীর মেডিকেল সেন্টারে দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। অনেক আকুতির পর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও আইসিইউ সুবিধা দেয়া হয়নি। নগরীর কোন হাসপাতালেও মিলেনি এ সুবিধা। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হতেই মারা যান তিনি। ‘চিকিৎসা না দিয়ে রোগী ফিরিয়ে দিলে’ লাইসেন্স বাতিল প্রশাসনের এমন হুঁশিয়ারির মধ্যে রোববার রাতে ঘটলো এমন ঘটনা। হাজি ইউনুছের করোনা ছিলো না তারপরও কোন হাসপাতাল আইসিইউ দেয়নি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকসহ গত কয়েকদিনে শ্বাসকষ্টে মৃত্যুবরণকারীদের পরিবারের অভিযোগ হাসপাতালগুলো তাদের আইসিইউর দরজা খুলছে না। আইসিইউর জন্য হাহাকার চলছে। হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছোটাছুটিতে রোগী মারা যাচ্ছে। বাসা বাড়িতেই অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেয়া পাহাড়তলীর বাসিন্দা নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তীর পিতা হাবিবুর রহমান (৭৯) গতকাল বাসায় মারা যান। করোনা আক্রান্ত হয়ে নিজের কর্মস্থল ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পাননি বলেও অভিযোগ করেছেন এক চিকিৎসক। জেনারেল হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোথাও করোনা চিকিৎসায় আইসিইউ নেই। সেখানেও মাত্র দশটি শয্যা। বেসরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত আইসিইউ থাকলেও সেগুলো করোনা চিকিৎসায় উম্মুক্ত করা হয়নি। আতঙ্কে সাধারণ রোগীদেরও সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। এতে বিনা চিকিৎসায় মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এনিয়ে জনমনে ক্ষোভ অসন্তোষ বাড়ছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন অভিযোগ করেছেন একটি চক্র সঙ্কট তৈরী করে জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছে। মানুষ চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে, চারিদিকে হাহাকার চলছে। তবে বিএমএম চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান বলেন, যেসব হাসপাতাল রোগী ফিরিয়ে দিচ্ছে তাদের ব্যাপারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিতে কমিটি করা হয়েছে। এদিকে হলি ক্রিসেন্ট এবং সিআরবি রেলওয়ে হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, এই দুটি হাসপাতালের পাশাপাশি চমেক হাসপাতালেও শয্যা বেড়েছে, সেখানে প্রায় দেড়শ রোগী ভর্তি আছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে ইমপেরিয়াল ও ইউএসটিসিতে রোগী ভর্তি শুরু হবে।
এখন বিভিন্ন হাসপাতালে ২১৯ জন রোগী ভর্তি আছেন এবং বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭১৬ জন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২২৪ জন। গতকাল একজনসহ মৃত্যুর সংখ্যা ৮০ অতিক্রম করেছে। আক্রান্ত তিন হাজার ছাড়িয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।