পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুই মাসের বেশি সময় পর দেশের ব্যাংকখাতে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সব শাখা খুলেছে। কোন কোন ব্যাংকের শাখায় গ্রাহকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। লেনদেন সকাল ১০টা থেকে চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ব্যাংক খোলা ছিল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। এদিন লেনদেনও হয়েছে মোটামুটি। তবে করোনাভাইরাসের ঝুঁকপূর্ণ এলাকায় লেনদেন সীমিত রাখার নির্দেশনা ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি থাকলেও লেনদেনসহ ব্যাংকিং কার্যক্রম সীমিত আকারে চলেছে। যার কারণে গতকাল তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। স্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। অনেক ব্যাংকেই কর্মী উপস্থিতি কম। ঢিলেঢালা অবস্থায় লেনদেন হয়েছে। এ সপ্তাহ এ রকমভাবেই চলবে। তবে যেহেতু ব্যবসা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি খুলে দেয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে ব্যাংকগুলোতে ব্যস্ততা বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা। রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিস কর্পোরেট শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, ব্যাংক কর্মকর্তারা গ্রাহকদের সচেতন করার চেষ্টা করলেও নিয়মনীতি ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করেই লেনদেন করেছেন গ্রাহকরা। কাউন্টারে যাওয়ার আগে অপেক্ষার জন্য যেসব বক্স তৈরি করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে কোনো কোনো গ্রাহক না দাঁড়িয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো দূরত্বে অবস্থান করেছেন।
ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, সাধারণ ছুটি শেষ হলেও অনেকটা ঢিলেঢালা অবস্থায় লেনদেন হচ্ছে। গ্রাহকের তেমন চাপ নেই। সব ধরনের সেবা চালু আছে। রূপালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের কর্পোরেট শাখার মহাব্যবস্থাপক খান মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর আগেই আমরা গ্রাহকদের নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে দাঁড়ানোর জন্য বক্স তৈরি করে দিয়েছি। শাখায় প্রবেশের সময় শরীরে তাপমাত্রা পরিমাপের পাশাপাশি, জীবাণুমক্ত করার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিচ্ছি। সবার সচেতনতায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারবো বলে আশা করি।
রাজধানীর বেসরকারি কয়েকটি ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায়, শাখার প্রবেশদ্বারে গ্রাহকের শরীরের তাপমাত্র পরিমাপ করেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। এরপর জীবাণুমুক্ত করার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিচ্ছেন গ্রাহকদের হাতে। পরে নিয়মনীতি মেনে ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্বে দাঁড়িয়ে লেনদেন সম্পন্ন করেছেন গ্রাহকরা। তবে কোন কোন ব্যাংকের শাখায় গ্রাহকের ভিড়ের কারণে এ কার্যক্রম ঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারেননি ব্যাংক কর্মকর্তারা। তারা জানালেন, টানা ছুটিতেই অনেকই বের হননি। ছুটি শেষে কর্মস্থলের পাশাপাশি ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পন্ন করতে গ্রাহকদের ভিড় কিছুটা বেড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা জানান, বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থল পর্যন্ত আসা অনেক কঠিন। আর ব্যাংকে আসার পর সবসময় করোনা-আতঙ্কে কাটাতে হচ্ছে। যেহেতু এখন করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার বাড়ছে। ব্যবসার প্রয়োজনে রাজধানীর নবাবপুর শাখার এসসিসি ব্যাংকের টাকা তুলতে আসা জাহিদ হাসান নামে এক গ্রাহক জানান, নবাবপুর ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানের ম্যানেজারে দায়িত্বে আছেন। দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার পর দোকান খুলেছে। নতুন মালামাল কেনার জন্য নগদ টাকা লাগবে তাই ব্যাংকে এসেছেন।
সাউথ-ইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম কামাল হোসেন বলেন, অন্যান্য দিনের মতো আজকেও স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। ছুটি কমায় তেমন চাপ দেখা যায়নি। তবে করোনাভাইরাসের চলমান পরিস্থিতে আমাদের নিজস্ব একটি পরিকল্পনার মাধ্যমে দুটি গ্রæপে কাজ চালাচ্ছি। আমাদের প্রত্যেক শাখায় এখন ৫০ শতাংশ কর্মী কাজ করছেন। বাকিরা ছুটিতে আছেন। কাজের চাপ বাড়লে পর্যায়ক্রমে কর্মী সংখ্যা বাড়ানো হবে।
মূলত ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, কর্মকর্তা, সন্তানসম্ভবা গ্রাহক ও কর্মকর্তাদের ব্যাংকে যাওয়া থেকে বিরত রাখছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে কর্মকর্তাদের নিজ দায়িত্বে সীমিত যানবাহনে যাতায়াতের ব্যবস্থার কথা জানালেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।