মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাস ঠেকানোর জন্য হার্ড ইমিউনিটির বা মানুষের সমষ্টিগতভাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মাত্রাটি এখনো সুস্পষ্টভাব নির্দিষ্ট হয়নি। তবে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে, এটি ৬০ শতাংশের থেকে বেশি হওয়া সমীচিন। যদিও ধীরে ধীরে সংক্রমণের মাত্রা কমে আসছে, বিশ্বের বেশ কয়েকটি শক্তিশালী শহরগুলির সমীক্ষাতে দেখা গেছে যে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এখনো ভাইরাসে আক্রান্ত এবং সুস্থদের সংখ্যা সমষ্টিগত রোগ প্রতিরোধ মাত্রা নির্ধারণের জন্য অপ্রতুল।
সেইসাথে, এটি এমন একটি স্পর্শকাতর পর্যায়ে যখন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ওষুধ নির্মাতারা মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন এবং সংক্রমণ কমে যাওয়ায় একটি নতুন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন, সংক্রমণের হার হ্রাস পাওয়ার ফলে তাদের ভ্যাকসিনগুলি পরীক্ষা করা কঠিন হয়ে উঠছে। কারণ, যদি কিছু অঞ্চলে করোনার প্রকোপ আরো কমতে থাকে, তবে পর্যাপ্ত লোক করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে আসবেন না। সেক্ষেত্রে গবেষকদের ইচ্ছাকৃতভাবে সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীদেরকে ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত করে তারপর তাদের উপর ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালাতে হবে।
সুইডেন এবং ব্রিটেনের মতো কিছু দেশ তাদের জনসংখ্যার মধ্যে সমষ্টিগত প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টায় লকডাউন নিয়ে সীমিতভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণাগুলি ইঙ্গিত দেয় যে, এই জায়গাগুলিতে এখন পর্যন্ত ৭ থেকে ১৭ শতাংশের বেশি লোক সংক্রমিত হয়নি। এর অর্থ এই যে, ১ শতাংশের বেশি এই সংক্রমণের হার এখনো আশঙ্কাজনক এবং আরো বহু মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে।
এই নতুন মহামারীর জন্য হার্ড ইমিউনিটির তত্ত¡টি এখনো অনিশ্চিত, তবে অনেক মহামারী বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, মোট জনসংখ্যার ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ সংক্রমিত হয়ে তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠলে এটি হার্ড ইমিউনিটির দোরগোড়ায় পৌঁছাবে। হার্ড ইমিউনিটির ধারণা অনুসারে অনুমান করা হয় যে, অতীতের সংক্রমণ মানুষকে দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে।
মানুষ করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অর্জন করেছে এমন প্রমাণ রয়েছে। তবে এটি সব ক্ষেত্রে কার্যকর কিনা, প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা শক্তিশালী, বা সেটির স্থায়ীত্ব কতদিন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হার্ড ইমিউনিটির নিয়েও কিছু লোক সংক্রমিত এবং অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিডেমিওলজির অধ্যাপক জিপসিয়াম্বার ডি সুজা বলেছেন, ‘আপনার নিজের ঝুঁকি, যদি সংস্পর্শে আসেন, তবে তা একই রকম। তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র আপনার সংক্রমণ ঘটার সম্ভাবনাটি সামান্য কমে গেছে।’
করোনাভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন নেই। সুতরাং নতুন এবং আরো কার্যকর চিকিৎসা ছাড়াই হার্ড ইমউিনিটির পথে হাঁটার অর্থ ব্যাপক হ’ল সংক্রমণ এবং আরো অনেক মৃত্যু। ইতিমধ্যে, শুধুমাত্র তারাই হার্ড ইমউিনিটির দারপ্রান্তে পৌঁছেছে, যাদের নতুন প্রাদুর্ভাবের সম্ভাবনা কম। তবে, তারা প্রতিরোধ মাত্রা কম থাকা শহরগুলির থেকে বৃহদাংশে বিচ্ছিন্ন না হওয়ার কারণে এখনো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
মানুষের মধ্যে এখনো সমষ্টিগতভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পর্যাপ্ত মাত্রায় তৈরি হয়নি এবং আগামী বছরের আগে ভ্যাকসিনের দেখা মিলবে না ও সেগুলির কার্যকারিতা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের বেশি হবে না বলে জানা গেছে। পাশাপাশি, করোনাভাইরাসের গঠন ও বৈশিষ্ট ইতিমধ্যে একাধিকবার পরিবর্তিত হয়েছে। এঅবস্থায় বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন যে, করোনাভাইরাস এখনো আরো দীর্ঘ পথ অতিক্রম করবে এবং সমগ্র বিশ্ব এখনো হার্ড ইমউিনিটির বাস্তবিকতা থেকে বহু দূরে অবস্থান করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।