পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের ফলে প্রথম দফা বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা রেঞ্জ (রাঙ্গাবালী)-এর চরকাসেম ফরেস্ট ক্যাম্পে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের সুফল প্রকল্পের ১৫ হেক্টর মাউন্ট বাগানে সৃজনের জন্য যে ২২,৫০০টি মাউন্ট তৈরি করা হয়েছিল তা বঙ্গোপসাগরের পানির তোড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আম্পান পরবর্তী দ্বিতী দফা ঘূর্নিঝড়ে বঙ্গোপসাগরের পানির তোড়ে তা সম্পূর্ন বিলীন হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও বঙ্গোপসাগরে জেগে উঠা চর শেরেবাংলা ও চরসাতদাওন এলাকায় বনায়ন প্রকল্পের আওয়তায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ম্যানগ্রোভ কেওড়া নতুন চারা বনায়ন আনুমানিক ৫০০ হেক্টর বন ঝড়ে বিধ্বস্তসহ ঝাউ চারার নার্সারি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে বলে গতকাল জানিয়েছেন চরকাসেম ফরেস্ট ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
এদিকে বন বিভাগের গলাচিপা রেঞ্জ (বাহেরচর) রাঙ্গাবালী উপজেলার, বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা নতুন চরসহ উপক‚লীয় এলাকায় এলাকায বনায়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ আর্থিক সালে ও সুফল প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ আর্থিক সালে গৃহীত বাগানে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন গলাচিপা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি জানান, নতুন বাগানের মধ্যে পক্ষীয়া, চড় আগসতী, মাদারবুনিয়া, শেরেবাংলা, সাতদাওন, মৌডুবী, তুফানিয়চর, গূঙ্গীপাড়া, কানকুনি পাড়াসহ অন্যান্য এলাকায় ম্যানগ্রোভ বাগানের থেকে ২০ থেকে ৩০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এবিষয়ে পটুয়াখালী বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এবারের ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সাগর-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বঙ্গোপসাগরের মোহনার নিকটবর্তী রাঙ্গাবালী, গলাচিপা এলাকার ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট বেশি ক্ষতি সাধিত হয়েছে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফা ঘূর্নিঝড়ে ম্যানগ্রোভসহ এ অঞ্চলের বন বিভাগের বনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি, অতি শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।