বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে কালবৈশাখীর ছোবলে শতাধিক ঘরবাড়ি ও দুই শতাধিক গাছ-পালা বিধ্বস্ত হয়েছে। মৌসুমী ফসল ও বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়ে অনেক জায়গায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় কাঁচা-পাকা ধান ক্ষেত নিয়ে কৃষকরা পড়েছে বিপাকে ।
গতকাল রবিবার রাত ১১ টা থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েক দফায় তা-ব চালায় কালবৈশাখী ঝড়। দফায় দফায় এ তা-বে ল-ভ- হয় শতাধিক কাঁচাপাকা ঘর-বাড়ি। দুমড়ে মুচড়ে গেছে অনেক বাড়িঘর। বিধ্বস্ত হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি। বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শান্তিরাম, শ্রীপুর ও ছাপরহাটির ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। ওইসব এলাকায় অনেকের ঘরের ছাউনি বাতাসে উড়ে গেছে। অনেক পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। সরেজমিনে দেখা গেছে বেশি ক্ষতি হয়েছে মৌসুমী ফসলসহ বোরো ধান ও পাটের। মৌসুমী ফল আম, লিচু ঝড়ে পড়ে গেছে। কলা বাগান দুমড়ে মুচড়ে গেছে। গাছপালা উপড়ে পড়ে অনেক জায়গায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মুষুল ধারে বৃষ্টি হওয়ায় মরুয়াদহ বিলসহ কয়েকটি নি¤œাঞ্চলের বোরো ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানির নীচে আধা পাকা ধান কাটতে দেখা গেছে মরুয়াদহ বিলে। পানের বরজ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। কোথাও-কোথাও পাট ক্ষেত দুমড়ে-মুচড়ে নুয়ে পড়েছে মাটিতে।
এদিকে কালবৈশাখী ঝড় শুরুর পর থেকেই বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। টানা ২০ ঘণ্টা পর কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও অধিকাংশ এলাকা অন্ধকারে রয়েছে। এমনকি ঝড়ের কারণে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট সেবা। অনেক এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিড়ম্বনায় পড়েছে মোবাইল ব্যবহারকারীরা। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক জাবেদ আলী,সামাদসহ অনেকেই জানান, কালবৈশাখী ঝড়ের তা-বে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাকা ধান মাটিতে শুয়ে যাওয়ায় ধান কাটতে বেশি দ্বিগুন মজুরি দিতে হবে তাদের। এ ছাড়াও কলা বাগান দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ মেটানো সম্ভব হবেনা বলে জানান তারা। অপরদিকে ঈদের নামাজের পরপরই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী লুতফুল হাসান। এ ছাড়াও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠে ঘুরছেন বলে জানা গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান,শাক-সবজি ৮০ হেক্টর ওপানের বরজ ১০ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারনের কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী লুতফুল হাসান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের সত্যতা স্বীকার বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে শতাধিক কাঁচাপাকা ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও গাছপালা উপড়ে পড়েছে এবং বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।