গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান কার্যালয়ের অ্যাকাউন্টস অফিসার কাজী আলতাফ হোসেন ফিরোজ মারা গেছেন।
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকার মিরপুর ১২ নম্বরে বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতালে মারা যান তিনি। পরে সোমবার ভোরে সরকারি নিয়ম মেনে তাঁকে পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা-মজিদপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়।
করোনার মারা যাওয়া ফিরোজের বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ বহু আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন। তার বাড়ী পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা গ্রামে।
মরহুমের ভাগিনা গোলাম মোস্তফা রাজ জানান, ঢাকায় এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ের অ্যাকাউন্টস অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন কাজী আলতাফ হোসেন ফিরোজ। পাঁচ দিন আগে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ আসে। এরপর তাঁকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আইসিইউতে নেয়ার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক মিরপুর ১২ নম্বরে রিজেন্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মরহুমের পারিবারিক সূত্র জানায়, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম লাশের দাফন কাফনের অনুমতি নিয়ে সোমবার ভোরে সরকারি নিয়ম মেনে তাঁকে পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা-মজিদপুর গোরস্থানে দাফন করে।
এদিকে, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ খান অ্যাকাউন্টস অফিসার কাজী আলতাফ হোসেন ফিরোজের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি মরহুমের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, তাঁর মৃত্যুতে এলজিইডি একজন নিরলস ও নিবেদিত প্রাণ কর্মকর্তাকে হারালো। তাঁর অবদানের কথা এলজিইডি চিরদিন মনে রাখবে। আমি তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।