পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মহামারীতে দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা। মহামারী ঠেকাতে সরকার আগামী ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন। তবে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সচল রাখতে সীমিত আকারে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। সামনে ঈদ কেন্দ্রীক বন্ধ থাকায় তা সরকারি ছুটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা হতে পারে বলে মনে করছে অনেক গ্রাহক। অনেকেই সাধারণভাবে ভেবে নিয়েছিলেন লকডাউনের ৩০ মে পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এরকম কোন ভাবনা নেই। প্রতি বছরের মতো এ বছরেও ঈদে স্বাভাবিক নিয়মেই ছুটি থাকবে। সে হিসেবে আগামী ২৭ ও ২৮ মে বুধ ও বৃহস্পতিবার ব্যাংক খোলা থাকবে।
গত বুধবার মতিঝিলে গিয়ে দেখা যায়, ডাচ বাংলা ব্যাংকের মতিঝিল ব্র্যাঞ্চে লম্বা লাইনে দাড়িয়ে আছে আবু বকর নামে এক ব্যবসায়ী। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের পরে একটা লম্বা ছুটিতে থাকবে দেশ। এ সময় ব্যাংকিং লেনদেনও হয়তো চলবে না। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকিং কিছু কাজ এখনই সেরে নিচ্ছি। ঈদের পরে বুধ ও বৃহস্পতিবার ব্যাংক খোলা থাকার কথা জানালে তিনি বলেন, ঈদের আগেই সীমিত লেনদেনে যে পরিমাণ ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে, ঈদের পরে তো ব্যাংকের কয়টি শাখা খোলা থাকবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি খাতের ব্যাংক এশিয়ার ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আরফান আলী বলেন, সরকারি ছুটির সঙ্গে ব্যাংকের কোন সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদের পরেই বুধবার থেকে ব্যাংকের শাখাগুলো খোলা থাকবে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নিয়ম করে ব্যাংকের শাখা খোলা রাখা হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, গ্রাহকদের স্বার্থেই সাধারণ ছুটির মধ্যে ব্যাংকের শাখা খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাই এ সময়ে ব্যাংকিং সেবা পেতে গ্রাহকরা যাতে কোনো রকম ভোগান্তিতে না পড়ে সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পোশাক কারখানাগুলো ঈদের জন্য তিনদিন ছুটি ঘোষণা করেছে। এছাড়া আমদানি- রফতানিতে যেন কোন ধরনের সমস্যা না হয় তাই ঈদের ছুটি ২৬ মে পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। এ ছুটি বছরের প্রথমেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে। সুতরাং ২৭ ও ২৮ তারিখ থেকে ব্যাংক স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে।
জানা গেছে, অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য রফতানিমুখী পোশাক শিল্প খাতের কারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। রাজধানীতে স্বল্প পরিসরে দোকানপাট ও মার্কেটগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। তবে এখনো ব্যাংকিং সেবা ও লেনদেন কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু রাখা হয়েছে। এমনকি কিছু কিছু ব্যাংকের এমনও শাখা আছে সপ্তাহে ১ দিন বা দুই দিন খোলা থাকে। তাও আবার ৩/৪ জন কর্মকর্তা দিয়ে। আর এতে ঈদের আগে বিভিন্ন অফিসের বেতন-বোনাস প্রদান, ঈদ কেন্দ্রিক যাকাত ও ত্রাণ দিতে ব্যাংক লেনদেন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন গ্রাহকরা। শাখায় গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইনসহ নানা ধরণের হয়রানির মুখে পড়তে হয়। এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের এফভিপি মো. রুহুল আমিন বলেন, করোনার সময়ে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং সেবা চললেও আমরা সব শাখা আগেও খোলা রেখেছি। সামনেও থাকবে। একই সঙ্গে ২৭ ও ২৮ মে সারাদেশে আমাদের ব্রাঞ্চ খোলা থাকবে।
দেশে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে লেনদেনের সময় কমিয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত করা হয়েছে। ঢাকার মতিঝিল ও দিলকুশা এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদের সব ব্যাংকের শাখা খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে গত ২৪ এপ্রিল সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও অধিকাংশ শাখায়ই ছিল সীমিত কার্যক্রম। কম সময়ের কারণে নগদ জমা ও উত্তোলনের মধ্যেই ব্যাংকের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রয়েছে। এতে বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় লেনদেন করতে পারছে না গ্রাহকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।