ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামের দুই দলের সংঘর্ষে আহত পান্নু খন্দকার (৩৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে। পান্নু উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের বড়খারদিয়া পশ্চিম ঠাকুরপাড়া গ্রামের রাঙ্গা খন্দকারের ছেলে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। গত ৭ মে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া-উজিরপুর গ্রামে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যদুনন্দী ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন মিয়ার সাথে একই গ্রামের ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি হুমায়ন খা, স্থানীয় মাতুব্বার রফিক মোল্যা ও ইলিয়াছ কাজীর মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই সূত্রধরে বৃহস্পতিবার আলমগীর মিয়ার লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায় হুমায়ন খা ও রফিকুলের সমর্থকরা। এ সময় আলমগীর মিয়ার লোকজন হামলা ঠেকাতে গেলে সংঘর্ষ বাধে।

খবর পেয়ে ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা) সার্কেল এফ.এম মহিউদ্দিন ও সালথা থানার ওসি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২টি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ১৭ জন আহত হয়। ২০টি বসতঘর ভাঙচুর করে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে উজিরপুর গ্রামে আমার সমর্থকদের ১৪/১৫ বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় হামলা ঠেকাতে গেলে আমার সমর্থক ইউপি সদস্য সিরাজ বিশ্বাস, মানোয়ার হোসেন মিয়া, পান্নু খন্দকার, সাদি মোল্যা, রুবি বেগম, সিরাজ শেখসহ ৯ জন আহত হয়। এর মধ্যে পান্নু খন্দকার চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি আসার পর বুধবার রাতে মারা যায়। পান্নু খন্দকারের বসতঘর ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। সালথা থানার ওসি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, মৃত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।