বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষের রাজধানী ত্যাগ ঠেকাতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। পুলিশের কড়াকড়ি উপেক্ষা করেই রাজধানী ও আশেপাশের এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে ফেরি ঘাটগুলোতে। এনিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মানুষের এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িফেরায় সারাদেশে করোনার গণসংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন নাগরিকরা।
সোমবার দেশে রেকর্ড পরিমাণ (১৬০২ জন) করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়, রেকর্ড হয় মৃত্যুতেও। আর এদিনই সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে ঈদ উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষ ঢাকা থেকে গ্রামের পথে পাড়ি দেয়ায় শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে ফেইসবুকে। সকাল থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতে থাকে জনশ্রোতের অসংখ্য ছবি। এতে দেখা যায়, যাত্রাপথে সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপই করছেন না ঘরমুখী মানুষ।
সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘গতকাল সংবাদে দেখলাম, ঢাকা থেকে ঢোকা ও বের হওয়ার পথে নাকি সরকার কড়াকড়ি আরোপ করেছে। কড়াকড়ির নজির যদি এই ছবি হয় তাহলে কী মন্তব্য করা উচিত? ভদ্র লোকেরা শ্রমজীবীদের অসচেতনতা নিয়ে ফেসবুকে লিখে ভাসাচ্ছে। ভদ্র লোকেদের চরিত্র দেখুন! ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমালোচকেরা কোথায়?’’
মোহাম্মদ হাফিজ লিখেছেন, ‘‘আহারে বাড়ি ফেরা..।কিয়ের আইজিপির নিষেধাজ্ঞা। আমরা বাঙালী, আমাদের দাবায় রাখতে পারবা না। প্রয়োজনে পদ্মা সাতরিয়ে এপার ওপার যাবো!প্রতিদিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার সাথে মৃত্যুর সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ প্রতিদিন এভাবে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করছে আর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়াচ্ছে। সরকার উপর থেকে শুধু দূরপাল্লারর বাস চলাচল বন্ধ করেছে। কিন্তু অন্য সব যানবাহন চলছে। তাতে যাত্রী ঠাসাঠাসি করে আনা-নেয়া করছে। কি লাভ তাতে দূরপাল্লারর বাস বন্ধ করে? বরং যাত্রীদের অন্য উপায় নিয়ে ৫-১০ গুন বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। লকডাউন না লুঙ্গি আপডাউন!’’
মাইনুদ্দিন মাইনু লিখেছেন, ‘‘কোনো কিছু দিয়েই আমাদের দাবাইয়া রাখা যাবে না, বাড়ি যাবই যাব। অথচ আজ শনাক্ত ১৬০২। আমাদের নিজেদের বিবেকবোধ না জাগলে সরকার বা পুলিশ কিছুই করতে পারবেনা।’’
ফরহাদ মজুমদার লিখেছেন, ‘‘সরকারের উচিত কোনো কিছু বন্ধ না করা। মানুষ নিজেকে নিজে মৃত্যুর দিকে নিয়ে গেলে কোন পাহারায় কাজে আসবে না।’’
আবু বকর সিদ্দিক লিখেছেন, ‘‘শুধু একটাই প্রশ্ন জানতে ইচ্ছা করে, এটাই কি তাদের জীবনের শেষ ঈদ? যদি না হয় তাহলে কিসের এতো তাড়া দেশে ফিরার?আপনার পরিবারের কেউ যদি ঈদে বাড়ি আসার পরিকল্পনা করে তাহলে তাকে নিরুৎসাহিত করুন।’’
ইয়েমেন সিকদার লিখেছেন, ‘‘ঈদে ঘরমুখো মানুষের চিত্র۔! কে বলতে পারে এই আনন্দ-ই-পরিবার, আত্মী-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীর জন্য জীবনের শেষ ঈদ হয় কিনা۔! আল্লাহ এই জাতিকে হেদায়াত দাও۔!’’
কলিম লিখেছেন, ‘‘মসজিদে গেলে দমন করতে পারে, বেতনের জন্য ধর্মঘট করলে পুলিশ দিয়া দমন করতে পারে,, এইখানে কেন এই অবস্থা।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।