মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পরীক্ষা সফল হলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে রয়েছে ব্রিটিশ সরকারের। রোববার কোভিড-১৯ এর দৈনিক প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্রিটেনের বাণিজ্য সচিব অলোক শর্মা এই তথ্য জানান। ইউরোপিয়ান মেডিকেল এজেন্সি (ইএমএ) জানিয়েছে, ২০২১ সালের শুরুতে চলে আসতে পারে করোনা ভ্যাকসিন।
বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিযোগিতায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনকে সহায়তা করার জন্য আরও ৮ কোটি ৪০ লাখ পাউন্ড (৮৬৫ কোটি টাকা প্রায়) দেয়ার ঘোষণা করে অলোক শর্মা বলেন, ‘ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্ম অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাথে একটি বড় চুক্তি সম্পন্ন করেছে অক্সফোর্ড, যারা ট্রায়ালগুলো সফল হলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩ কোটি ডোজ উৎপাদনে কাজ করবে।’ তিনি জানান, এতে যুক্তরাজ্যের অগ্রাধিকার থাকবে, তবে এটি ‘স্বল্পতম ব্যয়ে’ উন্নয়নশীল দেশগুলোও যাতে পায় তা নিশ্চিত করবে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘পরীক্ষার মাধ্যমে করোনভাইরাস ভ্যাকসিন যে আসলেই কার্যকর হবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।’ অলোক শর্মা জানান, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যে ইতিমধ্যে মানব ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাচ্ছে, তাদের কাজ নিয়ে তিনি ‘গর্বিত’। তিনি বলেন, ‘অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এই জটিল পরীক্ষাগুলো যে গতিতে নকশা করেছে এবং পরিচালনা করেছে, তা সত্যই নজিরবিহীন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইম্পেরিয়াল কলেজের একটি ভ্যাকসিন তৈরির কাজও ভাল চলছে এবং জুনে তা পরীক্ষার পর্যায়ে চলে যাবে।’ ইতিমধ্যে, করদাতাদের দেয়া আগের ৪ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ডের সাথে নতুন অর্থ সরবরাহ করা হলে, এই অর্থ অনুমোদন পাওয়ার পর ভ্যাকসিনগুলো গণ-উৎপাদনে সহায়তা করবে বলে তিনি জানান।
এদিকে, করোনার গ্রাস থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারের বিকল্প দেখছেন না বিজ্ঞানীরা। সে লক্ষ্যে করোনার ১১৫টি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ল্যাবে। কবে নাগাদ মানবসভ্যতা রক্ষায় কার্যকরী ভ্যাকসিন উদ্ভাবন হবে, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। ইতিমধ্যে কয়েকটি ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগের পরীক্ষাও শুরু হয়েছে। বানর ও ইঁদুরে সফল হয়েছে ইতিমধ্যে। কিন্তু ঠিক কবে নাগাদ এই টিকা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পাবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে ইউরোপিয়ান মেডিকেল এজেন্সি (ইএমএ) জানিয়েছে, খুব দ্রুত হলেও এই ভ্যাকসিন অনুমোদনের জন্য প্রস্তুত হতে কমপক্ষে এক বছর সময় লাগতে পারে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মার্কো ক্যাভালেরি বলেন, ‘২০২১ সালের শুরুর দিকে কয়েকটি ভ্যাকসিন অনুমোদনের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।’ তিনি বলেন, সব কিছু পরিকল্পনা মতো এগিয়ে গেলে অর্থাৎ প্রতিটি বিষয়ে সফল হলে এখন থেকে এক বছরের মধ্যে বিশ্ববাসী কোভিড-১৯ রোগের ভ্যাকসিন হাতে পাবে। তবে এখন পর্যন্ত গবেষণায় প্রাপ্ত সফলতার ওপর নির্ভর করে এই পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে বলে জানান মার্কো। তিনি বলেন, যতগুলো টিকা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, তার সবগুলো অনুমোদন পাবে না এবং সেগুলো হারিয়ে যাবে। তবে এদের থেকেই সামনের সারির বেশ কয়েকটি এগিয়ে আসবে, যাদের মধ্য থেকেই পাওয়া যাবে করোনার চূড়ান্ত ভ্যাকসিন। সূত্র : ডেইলি মেইল, ডয়েচে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।