মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউনিভার্সিটি অফ এডিনবার্গ মেডিকেল স্কুলের গ্লোবাল হেলথের চেয়ারম্যান দেবী শ্রীধর ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের একটি মন্তব্য কলামে লিখেছেন যে, বিবিধ তথ্য উৎসকে এবং বাইরের কন্ঠস্বর শুনতে অনিচ্ছুক নেতারা মহামারী নিয়স্ত্রণের সফল প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিপজ্জনক। তিনি লিখেছেন যে, দলের মধ্যে আবদ্ধ ভাবনা এবং অজ্ঞানতা এড়ানোর একমাত্র উপায় হ›ল, বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সংকটের টেবিলে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট এবং প্রতিষ্ঠান থেকে আসা দক্ষ প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকা নিশ্চিত করা।
একজন মহিলা নেতা গ্রহন করার বিষয়টি বিভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে আসা মানুষদের ইঙ্গিত বহন করে, যা কীভাবে সংকট মোকাবেলা করতে হবে, সেবিষয়ে তাদের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে। এবং এইভাবে প্রত্যাশা অনুযায়ী তারা সেই টেবিলে আসন জিততে সক্ষম হয়। উদাহরণস্বরূপ, জার্মানিতে এঙ্গেলা মের্কেলের সরকার করোনাভাইরাস নীতি তৈরীতে মহামারী ভিত্তিক বিভিন্ন উদহরণ, চিকিৎসা সরবরাহকারীদের দেয়া তথ্য, এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সফল পরীক্ষা এবং পৃথকীকরণ কার্যক্রমের ফলাফলের প্রমাণ সহ বিভিন্ন তথ্য উৎস বিবেচনা করেছে। ফলস্বরূপ, দেশটি করোনাভাইরাস মৃত্যুর এমন একটি হার অর্জন করেছে যা অন্যান্য পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলির তুলনায় বিস্ময়করভাবে কম।
এর বিপরীতে, সুইডেন এবং ব্রিটেনের পুরুষ নেতৃত্বাধীন সরকারগুলি উভয়েরই উচ্চ হারের করোনাভাইরাস মৃত্যু রয়েছে। এই দেশগুলি প্রাথমিকভাবে তাদের নিজস্ব উপদেষ্টাদের প্রদত্ত মহামারী সংক্রান্ত নমুনাগুলির উপর নির্ভর করেছে যেখানে বাইরের বিশেষজ্ঞদের ভিন্ন মত প্রকাশের তেমন সুযোগ ছিল না। তবে, এটাই যথেষ্ট প্রমাণ নয়। আশেপাশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ভিন্ন ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করতে পারে যা নারী গোষ্ঠীকে লক্ষ্য বানাতে পারে।
তুলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রুথ কার্লিট্জ যুক্তরাষ্ট্রের গভর্নরদের ট্র্যাক রেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখতে পান যে, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য লকডাউন চাপিয়ে দেওয়ার জন্য নারী নেতারা অগ্রগামী ছিলেন না। কারণ হতে পারে যে, কোনো ধরণের লিঙ্গ প্রভাব দলগত রাজনৈতিক অংশীদারিত্বের সর্বগ্রাসী শক্তিতে ধামাচাপা পড়ে যায়। কার্লিটজ দেখতে পেয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান গভর্নরগণ, পুরুষ ও মহিলা ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে লকডাউন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বেশি সময় নিয়েছিলেন।
লিঙ্গসমতার বিভ্রান্তি কাটানো:
ট্রাম্প প্রকাশ্যে উপস্থিত হওয়ার সময় মুখোশ না ব্যবহারের জন্য সমালোচিত হওয়ার পর রক্ষণশীল সাংবাদিক ডেভিড মার্কাস দ্য ফেডারালিস্টের ওয়েবসাইটে একটি নিবন্ধে যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ট্রাম্প আমেরিকান শক্তিমত্তা প্রদর্শন করছেন। তিনি লিখেছিলেন যে, ‘ট্রাম্প যদি মুখোশ পরে থাকেন, তবে তা ইঙ্গিত দেবে যে, চীন থেকে আসা এই অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এতটাই শক্তিহীন যে, এমনকি তার প্রেসিডেন্টকেও একটি মুখোশের পেছনে লুকাতে হচ্ছে।’
চিকিৎসা সরঞ্জামকে সাধারণত মহাশক্তিগুলির সংঘাতের ক্ষেত্রে এত গুরুত্বপ‚র্ণ হিসাবে দেখা হয় না। তবে মার্কাসের বিশ্লেষণটি আসলে শক্তিশালী আমেরিকান নেতার ঐতিহ্যগত ধারণার সাথে বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ: যিনি শক্তিমত্তার প্রদর্শন করেন, আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ এবং সর্বোপরি কোনো ভীতভাব দেখান না; এভাবে তিনি জাতির শত্রুদের বশীভ‚ত করেন। অন্য কথায়, একজন শক্তিশালী নেতা হ›ল তিনি, যিনি পুরুষতন্ত্রের দাম্ভিক পেশী শক্তিকে আদর্শ হিসেবে মেনে চলেন।
এটি রাজনীতিতে প্রায়শই নারীদের জন্য অসুবিধার সৃষ্টি করে। নেতাদের পুরুষালী রকমের আগ্রাসী, দাম্ভিক এবং উদ্ধত হওয়া উচিত বলে সমাজে এক ধরণের প্রত্যাশা রয়েছে। (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।