মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বজুড়ে তান্ডব চালানোর পর সেই ফ্লু বিবর্তিত হয়ে আরো বেশি অনুকুল ফ্লুতে রূপ নিয়েছে যা প্রতিবছরই ফিরে আসে। ড. স্নোডেন বলেছিলেন, ‘সম্ভবত এটি সেই আগুনের মতো যা সহজলভ্য এবং সহজ দাহ্য কাঠ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়।’
এটিরো সামাজিকভাবে ইতি ঘটেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্ত হয়েছিল; লোকেরা একটি নতুন শুরু, একটি নতুন যুগের জন্য প্রস্তুত ছিল এবং রোগ ও যুদ্ধের দুঃস্বপ্ন তাদের পিছনে ফেলে আসতে আগ্রহী ছিল। তখন থেকে আজ অবধি ১৯১৮ ফ্লুটি সবাই প্রায় ভুলে গিয়েছিল। অন্যান্য ফ্লু-মহামারীও একই পথ অনুসরণ করেছে। কোনোটাই ভীষণ খারাপ নয়, তবে সবগুলি স্বস্তিদায়কও নয়। ১৯৬৮ সালের হংকং ফ্লুতে যুক্তরাষ্ট্রে ১ লাখ লোকসহ বিশ্বব্যাপী ১০ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল, যাদের বেশিরভাগেরই বয়স ৬৫’র উপরে ছিল। সেই ভাইরাস এখনো মৌসুমী ফ্লু হিসাবে বিচরণ করে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে এর যে বিধ্বংসী বৈশিষ্ট এবং এটি নিয়ে যে ভয়টি ছিল, তা এখন স্মরণে আসে না বল্লেই চলে। এখন প্রশ্ন যে, কোভিড-১৯’র যবনিকা হবে কীভাবে? এবং কোভিড-১৯’র সাথে কি একই ঘটনা ঘটবে? ইতিহাসবিদরা বলছেন, একটি সম্ভাবনা হ›ল, করোনাভাইরাস মহামারীটি চিকিৎসাগতভাবে শেষ হওয়ার আগেই আগেই সামাজিকভাবে সমাপ্ত হয়ে যেতে পারে। এমনকি যদিও কোনো ভ্যাকসিন বা কার্যকর চিকিৎসা পাওয়া যাওয়ার আগেই ভাইরাস জনসংখ্যাকে শেষ করে দিতে থাকে, লোকেরা বিধিনিষেধের কারণে এতটাই ক্লান্ত হয়ে উঠতে পারে যে, তারা মহামারীটির সমাপ্তি ঘোষণা করে দিতে পারে।
ইয়েল ইতিহাসবিদ নওমী রজার্স বলেছেন, ‘আমি মনে করি, এধরণের ক্লান্তি এবং হতাশার সামাজিক মানসিক সমস্যা বিরাজ করছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক মুহুর্তের মধ্যে থাকতে পারি যখন লোকেরা কেবলই বলছে: যথেষ্ট হয়েছে। আমি আমার নিয়মিত জীবনে ফিরে আসার ক্ষমতা প্রত্যাশা করি।’
ইতিমধ্যেই এমনটি ঘটতে শুরু করেছে; যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজ্যে গভর্নররা নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নিয়েছেন। এধরণের পদক্ষেপ যে অপরিপক্ক, জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের এই সতর্কতা অগ্রাহ্য করে তারা চুল কাটার দোকান, নখ সজ্জার দোকান এবং জিমগুলি আবার খুলে দিয়েছেন। লকডাউনে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয় বাড়ার সাথে সাথে, আরো বেশি সংখ্যক লোক ‘যথেষ্ট’ শব্দটি বলতে প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে।
ড. রজারস বলেছেন, ‘এখন এধরণের বিরোধিতা হয়েছে।’ জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ চিকিৎসাগতভাবে এই মহামারীর সমাপ্তির কথা বিবেচনা করলেও জনসাধারণের কিছু অংশ এর সামাজিক যবনিকা দেখতে পাচ্ছেন।
তিনি বলেছেন, ‘কে এর সমাপ্তি দাবি করবে?’ ড. রজার্স বলেন, ‘আপনি যদি এর সমাপ্তির প্রবণতার বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করেন, তবে আপনি কিসের বিরুদ্ধে পিছনে ঠেলে দিচ্ছেন? আপনি যখন বলছেন, না, এটি শেষ হচ্ছে না, তখন আপনি কী দাবি করছেন?’ ড. ব্র্যান্ড বলেছেন, ‘চ্যালেঞ্জ হ›ল, হঠাৎ করে কোনো জয় আসবে না। মহামারীটির যবনিকা নির্ধারণ করার চেষ্টা করা ‘একটি দীর্ঘ ও কঠিন প্রক্রিয়া হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।