পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রতি চীনে এক দম্পতি আবিষ্কার করেছেন যে, তাদের যমজ নবজাতকের পিতৃত্ব আলাদা। এতে তারা হতবাক হয়ে যান। একজন ডিএনএ বিশ্লেষক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, নবজাতকদের অভিভাবক পিতা চীনে জন্ম নিবন্ধনের আইনগত পদ্ধতির অংশ হিসাবে ডিএনএ পরীক্ষা করার পর এই চমকপ্রদ তথ্য আবিষ্কার করেন। পিতৃত্বের তথ্য প্রস্তুতকারী আইনজীবি দেং ইয়াজুন বলেছেন যে, এ জাতীয় ঘটনা ঘটার সুযোগ কোটিতে একটি।
বেইজিং জংজেং ফরেনসিক আইডেন্টিফিকেশন সেন্টারের পরিচালক মিস দেং চায়না নিউজ উইকলিকে ব্যাখ্যা করেছেন, ‘প্রথমে মাকে একই মাসে ১ টি’র পরিবর্তে ২টি ডিম উৎপন্ন করতে হবে (যমজ সন্তানের জন্য)। দ্বিতীয়ত, এটি সম্ভব করার জন্য তার খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে ২ জন পুরুষের সাথে শারীরীক সম্পর্ক করতে হবে।’
দেং মন্তব্য করেন, ‘ফলাফলগুলি দেখিয়েছে যে, বাচ্চাদের একই মা রয়েছে তবে একই বাবা নেই। তাদের কমপক্ষে ২ জন জন্মদাতা রয়েছে।’ একই নারীর গর্ভে আলাদা আলাদা পুরুষের ঔরসে যমজ জন্ম নেয়া হেটেরোপ্যাটার্নাল সুপারফেকান্ডেশন নামে পরিচিত একটি অত্যন্ত বিরল ঘটনা। চীনে এর আগেও একই রকম ঘটনা ঘটেছে। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জিয়ামিয়ান শহরের এক দম্পতি ২০১৯ সালে স্থানীয় থানায় তাদের যমজ ছেলের জন্ম নিবন্ধন করতে যাওয়ার পর এঘটনা প্রকাশ পেয়েছিল।
ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল হাতে পাওয়ার পর অন্য যমজ শিশুদের চীনা মা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন যে, তিনি স্বামীর সাথে প্রতারণা করেছিলেন। নিবন্ধ প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে, বাচ্চাগুলি যে তাদেরই ছিল তা প্রমাণ করার জন্য তাদের পিতৃত্ব পরীক্ষার ফলাফলগুলি উপস্থাপন করতে হয়েছিল। শিয়াওলং নামে পরিচিত স্বামী ভেবেছিলেন যে, তার একটি ছেলে কেন তার মতো দেখায় না।
কথিত আছে যে, তার স্ত্রী প্রথমে কোনো সম্পর্ক থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন এবং তার স্বামীর প্রতি মিথ্যা ফলাফল বলার অভিযোগ এনেছিলেন। জিয়াওলং তার স্ত্রীকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি অন্য একটি পুরুষের সাথে সম্পর্ক করেছিলেন এবং এটি ছিল মাত্র এক রাতের ঘটনা।
এর আগে, ২০১৪ সালে পূর্বের চীনা শহর ইইউউ’র ধনী ব্যবসায়ী জাউ গ্যাং তার ২ যমজ পুত্রের সাথে সম্পর্কযুক্ত নন আবিষ্কারের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। সানশিয়াং আরবান নিউজপেপারে বলা হয়েছে, বড় ছেলের চোখের পাতা ভিন্নরকম বুঝতে পেরে গ্যাং তার ছেলেদের ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, বিষয়টির সঠিক অস্বাভাবিকতা গণনা করা কঠিন। দ্য গার্ডিয়ান অনুসারে, পূর্ববর্তী গবেষণাগুলি থেকে জানা গেছে যে, এই সুযোগটি প্রতি ৪শ’ জোড়াতে একটি এবং ১৩ হাজার জোড়াতে একটি হতে পারে। সূত্র : ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।