Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জুনের মাঝামাঝি সীমান্ত খুলবে ইউরোপের কিছু দেশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০২০, ৫:২৭ পিএম

ইউরোপের মধ্যে সবার আগে জার্মানি সীমান্তে কড়াকড়ি শিথিল করছে। শুক্রবার থেকে লুক্সেমবুর্গ ও আগামী ১৫ই জুন থেকে ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ার সঙ্গে সীমান্ত খুলে দিচ্ছে দেশটি।

বুধবার জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সিহোফার বলেছেন, জুনের মাঝামাঝি পুরোপুরি খোলার আগে শুক্রবার থেকে ফ্রেঞ্চ, অস্ট্রিয়ান এবং সুইস সীমান্তে ব্যবসায়িক ভ্রমণ এবং পারিবারিক পরিদর্শন শুরু হবে। তবে এর জন্য বিভিন্ন জায়গায় তাদেরকে পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডের মতো ইউরোপের কিছু দেশ অদূর ভবিষ্যতে এমন পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি পর্যটনের উপর নির্ভরশীল দেশ হিসেবে গ্রিস বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে সীমান্ত খোলার পথে এগোচ্ছে। বুধবার ইইউ কমিশন ইউরোপের অভ্যন্তরীণ সীমান্ত খোলার বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। তবে সংক্রমণ বাড়লে সীমান্ত আবার বন্ধ করা হতে পারে।

করোনা সংকটে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সীমান্ত কার্যত বন্ধ রেখেছিল ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ। এবার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ধীরে ধীরে সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অবাধ যাতায়াতের সুযোগ আবার পুরোপুরি চালু করার সিদ্ধান্ত না নেয়া হলেও আগামী জুন থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে কড়াকড়ি অনেক শিথিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ইইউ স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিশনর স্টেলা কিরিয়াকিডেস। তবে একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যতদিন করোনা ভাইরাস লোপ না পাবে, ততদিন ভ্রমণের ফলে ঝুঁকিও দূর হবে না। তার মতে, ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধিনিয়ম শিথিল হলেও সতর্ক থাকতে হবে, সামাজিক ব্যবধান বজায় রাখতে হবে এবং কড়া হাতে স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করে যেতে হবে।

নতুন এই বাস্তবতার মুখে ইইউ সদস্য দেশগুলির উদ্দেশ্যে ভ্রমণের বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। এর আওতায় যে সব দেশ জাতীয় সীমান্তের মধ্যে করোনা সংকট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে, সে সব দেশ বা অঞ্চলের মধ্যে ভ্রমণ চালু করা যেতে পারে। তবে পূর্বশর্ত হিসেবে বাড়তি সংক্রমণ সামলাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা কাঠামো প্রস্তুত রাখতে হবে এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তার গতিপথ শনাক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। মোটকথা সীমান্ত খুললে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবার আশঙ্কা দেখা দিলে সীমান্ত দ্রুত আবার বন্ধ করে দেয়া হবে।

ইইউ কমিশনের পরামর্শ মেনে বেশ কিছু দেশ বিভিন্ন শর্তে সীমান্ত খোলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। প্রত্যেক দেশই নির্দিষ্ট পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপের ঘোষণা করছে।

বিধিনিয়ম শিথিল করা হলেও পর্যটনের ক্ষেত্রে এখনো অনেক সংশয় রয়ে গেছে। কারণ মানুষের মনে এখনো সংক্রমণের আতঙ্ক রয়ে গেছে। বিদেশে গিয়ে আক্রান্ত হলে কতটা সাহায্য পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে মনে সংশয় কাজ করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। পর্যটন ক্ষেত্র সার্বিকভাবে ইইউ কমিশনের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও জাতীয় সরকারের পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছে। সূত্র: ডেইলি মেইল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ