মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইবোলা রোগীদের দেশ থেকে আসা এক যুবক ইমার্জেন্সি রুমে পৌঁছলে কেউই তার কাছে যেতে চায়নি; নার্সরা লুকিয়ে পড়েছিল এবং চিকিৎসকরা হাসপাতাল ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছিল। তিনি লিখেছেন যে, ড. মারে একা তার চিকিৎসা করার সাহস করেছিলেন, তবে তার ক্যান্সার এতটাই বাড়ন্ত ছিল যে, তাকে আরাম ও যত্ম দেয়া ছাড়া কিছু করার ছিল না। কয়েকদিন পর, পরীক্ষায় নিশ্চিত হয় যে, লোকটির ইবোলা ছিল না; তিনি এক ঘণ্টা পরে মারা যান। এর ৩ দিন পরেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইবোলা মহামারীর সমাপ্তি ঘোষণা করে।
ড. মারে লিখেছিলেন, ‘আমরা যদি অন্য কোন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো সক্রিয়ভাবে এবং চিন্তাভাবনার সাথে যদি ভয় ও অজ্ঞতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত না হই, তাহলে ভয় অসহায় লোকদের ক্ষতি করতে পারে, এমনকি এমন জায়গাগুলিতেও কখনো কোনো মহামরীর সময়েও সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি।’ তিনি লিখেছেন যে, একটি ভয় সংক্রমণের মহামারী জাতি, অগ্রাধিকার ও ভাষার সমস্যায় জট পাকিয়ে আরো মারাত্মক পরিণতি ঘটতে পারে।
কালো মৃত্যু এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন স্মৃতি : গত ২ হাজার বছরে স্নায়ূতে সংক্রমণ ঘটানো প্লেগ কয়েকবার আঘাত করেছে, লাখ লাখ লোককে হত্যা করেছে এবং ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করেছে। প্রতিটি মহামারী পরবর্তী সংক্রমণ বিস্তারের সাথে সাথে আতঙ্ক বাড়িয়ে তুলেছে। ইয়ারসিনিয়া পেস্টিস ব্যাকটিরিয়ার এক ধরনের জাত থেকে এই রোগ হয়, যা ইঁদুরের শরীরে থাকা পোকার ভেতর বাস করে। কিন্তু স্নায়ূর প্লেগ, যা ব্ল্যাক ডেথ নামে পরিচিত হয়েছিল, এটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ফুসফুসের শ্লেষ্মার মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে। তাই কেবল ইঁদুর মেরেই এটি নির্মূল করা যায় না।
জনস হপকিন্সের ইতিহাসবিদ মেরি ফিসেল বলেছেন, ইতিহাবিদরা প্লেগের ৩টি ভয়ঙ্কর প্রাদুর্ভাবের বর্ণনা দিয়েছেন: ষষ্ঠ শতাব্দীতে জাস্টিনিয়ার প্লেগ; ১৪ শতকে মধ্যযুগীয় মহামারী এবং আরেকটি মহামারী যা ১৯ শতকের শেষের দিকে এবং ২০ শতকের গোড়ার দিকে শুরু হয়েছিল। মধ্যযুগীয় মহামারীটি ১৩৩১ সালে চীনে শুরু হয়েছিল। সেই সময় গৃহযুদ্ধের পাশাপাশি সংঘটিত এই অসুস্থতা চীনের অর্ধেক জনসংখ্যাকে হত্যা করেছিল।
সেখান থেকে প্লেগটি ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে বাণিজ্য পথে ছড়িয়ে গেছে। ১৩৪৭ থেকে ১৩৫১ সালের মধ্যে এটি ইউরোপীয় জনসংখ্যার কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ লোককে হত্যা করেছিল। ইতালির সিয়েনার জনসংখ্যার অর্ধেক এতে মারা গিয়েছিল। ১৪ শতাব্দীর লেখক নোলো দি তুরা লিখেছিলেন, ‘মানব জিহ্বার পক্ষে এই ভয়াবহ সত্যটি বর্ণনা করা অসম্ভব।’
তিনি লেখেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, যে এমন ভয়াবহতা দেখেনি তাকে সৌভাগ্যবান বলা যেতে পারে।’
দি তুরা লিখেছেন, ‘সংক্রমিতদের বগলের নীচে এবং কুঁচকিতে ফুলে যেত এবং কথা বলতে বলতেই মারা যেত।’ লাশগুলো গর্তের ভেতর গাদা করে কবর দেয়া হতো। (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।