গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ছয়তলা ভবনের সর্বশীর্ষ তলায় থাকতেন আসাদ চৌধুরী লিটন। তিনি বেসরকারি একটি জাহাজ পরিচালনা প্রতিষ্ঠানের সাবেক ক্যাপ্টেন। তিনি মারা যাওয়ার সময় পাশে ছিলেন না আপনজন। কবে মারা গেছেন কেউ বলতে পারছে না। একাই থাকতেন ফ্ল্যাটে। মরে পড়েছিলেন খাটের ওপর। নিথর দেহ দুর্গন্ধ ছড়ালে টনক নড়ে নিরাপত্তাকর্মীর। খবর দেন ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দার এক আত্মীয়কে। পরে তিনি এসে দরজা খুলে দেখতে পান লাশ পড়ে আছে খাটে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনাটি রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে একটি ভবনের। ছয়তলা ভবনের সর্বশীর্ষ তলায় থাকতেন মৃত আসাদ চৌধুরী লিটন। তিনি বেসরকারি একটি জাহাজ পরিচালনা প্রতিষ্ঠানের সাবেক ক্যাপ্টেন। বাসাটি তার ভগ্নিপতির। ভগ্নিপতি একজন চিকিৎসক। তিনি নোয়খালীতে কর্মরত। পরিবার নিয়ে সেখানেই থাকেন।
তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি হৃদরোগ, ডায়াবেটিকসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। দিন ১৫ আগে তিনি নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন বলেও জানায় পুলিশ।
রমনা থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নিউ ইস্কাটনের ওই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হলে বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী আসাদের ভগ্নিপতির ছোট ভাইকে ফোনে তা জানান। পরে তিনি এসে চাবি দিয়ে মূল দরজাটি বাইরে খুলে ঘরে ঢুকে দেখতে পান আসাদের লাস খাটের ওপর পড়ে আছে। তাতে পচন ধরে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, ‘আসাদ চট্টগ্রামের একটি শিপিং কোম্পানির ক্যাপ্টেন ছিলেন। সেখান থেকে দুই বছর আগে তিনি অবসর নেন।’
মনিরুল ইসলাম জানান, ১৫ বছর আগে স্ত্রীর সঙ্গে আসাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। এরপর তিনি আর বিয়ে করেননি। আসাদ বিষন্নতায় ভুগছিলেন এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।