মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চতুর্থ দফা লকডাউনে যাচ্ছে ভারত। তবে এ লকডাউন হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। এতে মানুষের জীবনও রক্ষা হবে- দেশও আগে বাড়বে। আগামী ১৮ মে’র আগেই লকডাউনের প্রকৃতি দেশবাসীকে জানানো হবে। গতকাল জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ২৪ মার্চ থেকে লকডাউনে থাকা ভারতে এটি প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে দেয়া তৃতীয় ভাষণ। এসময় বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করে তিনি বলেন, ‘এই আর্থিক প্যাকেজ আত্মনির্ভর ভারতকে এগিয়ে দেবে। সমস্ত প্যাকেজ জুড়লে ২০ লাখ কোটি টাকার মতো হবে। যা দেশের জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশ। ২০২০ সালে ২০ লাখ কোটি টাকার প্যাকেজ আত্মনির্ভর ভারত অভিযানকে নতুন গতি দেবে’। এই প্যাকেজে জমি-শ্রমিক সবকিছুর উপরই নজর দেয়া হয়েছে। মধ্যবিত্তের জন্য এই প্যাকেজ। বুধবার থেকে অর্থমন্ত্রী এই প্যাকেজের বিষয়ে নতুন তথ্য দেবে বলেও জানান নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৪২ লাখ মানুষ আক্রান্ত, পৌনে তিন লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভারতেও বহু মানুষ তাদের আত্মীয়কে হারিয়েছেন। তাদের প্রতি সমবেদনা। একটা ভাইরাস দুনিয়াতে ত্রাস হয়ে উঠেছে। গোটা বিশ্ব প্রাণ বাঁচাতে যুদ্ধ করছে। এমন সঙ্কট না দেখেছি, না শুনেছি। নিশ্চিতভাবেই মানুষের জন্যে এই পরিস্থিতি অভ‚তপূর্ব। কিন্তু ভেঙে পড়লে চলবে না। মানুষকে তা মানায় না। সতর্ক থাকতে হবে। সমস্ত নিয়ম মেনে আমাদের এবার বাঁচতে হবে। এগোতেও হবে। আমাদের সংকল্প মজবুত করতে হবে’।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই শুনছি এই শতাব্দী আমাদের দেশ ভারতের। এই শতাব্দী আমাদের হবে, এটা স্বপ্ন নয়, আমাদের দায়িত্বও হবে। বিশ্বের আজকের পরিস্থিতি আমাদের বোঝাচ্ছে, আত্মনির্ভর ভারত হতে হবে’। শাস্ত্রতেও বলেছে, আত্মনির্ভরতার কথা। একটা দেশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি আমরা। করোনা সঙ্কট শুরুর সময় একটাও পিপিই ছিল না। এন-৯৫ মাস্ক তৈরি হত না তেমন, এখন লাখ-লাখ তৈরি হচ্ছে। আত্মনির্ভর ভারতের এটাই সঙ্কেত। আশার দিক দেখাচ্ছে’।
তার কথায়, ‘১৩০ কোটি মানুষকে আত্মনির্ভর হতে হবে। আমাদের ঐতিহ্য তাই বলছে। সময় তো একসময় সেরকমই ছিল’। তার কথায়, ‘আমরা পাঁচটা পিলারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। অর্থনীতি- যা অনন্য হবে, দ্বিতীয় হল পরিকাঠামো-যা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য হবে। তৃতীয় হল সিস্টেম, চতুর্থ আমাদের গণতন্ত্র, সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র আমাদের। সেটাই আমাদের শক্তি। আর পাঁচ নম্বর হল মস্তিষ্ক। আমাদের অসীম ক্ষমতা’।
বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করে তিনি বলেন, ‘এই আর্থিক প্যাকেজ আত্মনির্ভর ভারতকে এগিয়ে দেবে। সমস্ত প্যাকেজ জুড়লে ২০ লাখ কোটি টাকার মতো হবে। যা দেশের জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশ। ২০২০ সালে ২০ লাখ কোটি টাকার প্যাকেজ আত্মনির্ভর ভারত অভিযানকে নতুন গতি দেবে’। এই প্যাকেজে জমি-শ্রমিক সবকিছুর উপরই নজর দেয়া হয়েছে। মধ্যবিত্তের জন্য এই প্যাকেজ। তার কথায়, ‘কে ভেবেছিল এই পরিস্থিতিতেও গরিবের কাছে টাকা পৌঁছে যাবে। তেমনই তো হয়েছে। এবার তাঁকে আরও অনন্য শিখরে নিয়ে যেতে হবে’।
প্রধানমন্ত্রীর এই আর্থিক প্যাকেজকে স্বাগত জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোকে। তাদের দাবি, স¤প্রতি সর্বদলীয় বৈঠকে, জিডিপি’র ৮-১০% আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার যে দাবি উত্থাপর করা হয়েছিল। এদিন প্রধানমন্ত্রী সেটাই ঘোষণা করলেন। তবে সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আটকে থাকা শ্রমিকরা তাদের বাড়ি ফেরার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে কোন নির্দেশনা না থাকায় হতাশ হয়েছেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।