মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এতোদিন হোয়াইট হাউসের ভেতরে কর্মকর্তারা মাস্ক পরা কিংবা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাকে ততটা গুরুত্ব দেননি। এমনকি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও মাস্ক পরেননি। অবশেষে তিন কর্মকর্তা করোনা পজিটিভ হওয়ার পর সবার যেন টনক নড়েছে। হোয়াইট হাউসে এখন বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে বলা হচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ট্রাম্পও বলেছেন, সবারই মাস্ক পরা উচিত। অথচ শুরু থেকেই সবার মাস্ক পরার দরকার নেই বলে আসছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের হর্তাকর্তারা।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, সবাইকে মাস্ক পরে ওয়েস্ট উইং দিয়ে প্রেসিডেন্টের বাস ভবনে প্রবেশ করতে হবে। নিজেদের ডেস্কে অবস্থান ও অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় ছাড়া সব সময় সকল কর্মীদের অবশ্যই মাস্ক দিয়ে মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের প্রেস সচিব কেটি মিলার ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাম্পের সেবায় নিয়োজিত এক সেনা কর্মকর্তা করোনায় শনাক্ত হওয়ার পর হোয়াইট হাউস থেকে এ নির্দেশনা এলো।
অথচ এমন নির্দেশনার পরও সোমবার মাস্ক পরা ছাড়া সোমবার হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন ট্রাম্প। যুক্তি দেখিয়ে জানান, ‘সবার সঙ্গে দূরত্ব মেনে’ চলার কারণে এই নির্দেশনা তার মানার দরকার নেই।
হোয়াইট হাউসের দুই কর্মী ছাড়াও কভিড-১৯ সন্দেহে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের গঠিত ‘করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সে’র তিন সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন- সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড এবং খাদ্য ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিশনার স্টিভেন হ্যান। তবে হোয়াইট হাউসে করোনা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। তার দাবি, এখন পর্যন্ত ‘মূলত একজন’ করোনায় পজিটিভ হয়েছেন।
প্রতিদিনই করোনা টেস্ট হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের। এখন পর্যন্ত তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ।
মহামারী করোনা ভাইরাসে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এ পর্যন্ত দেশটিতে ৮২ হাজার মানুষ মারা গেছেন এবং ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৪ লাখ। তারপরও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এতোদিন চলছিলেন কিছুটা অসতর্ক হয়েই। তবে শেষপর্যন্ত হোয়াইট হাউসেও ঢুকে গেছে করোনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।