মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এবারের গ্রীষ্মকালে ঘরে বন্দী থাকতে হবে না, সবাই ছুটি কাটাতে বাইরে ঘুরতে যেতে পারবেন বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ্প কন্তে। এদিকে, করোনায় মৃত্যুহার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে স্পেন ও কানাডা। গত রোববার ইতালিন এক সংবাদমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতকারে কন্তে বলেন, ‘এই গ্রীষ্ম আমাদের বারান্দায় বসে কাটাতে হবে না এবং ইতালির সৌন্দর্য কোয়ারেন্টিনে থাকবে না। আমরা সমুদ্রে ও পাহাড়ে ঘুরতে যেতে পারব।’ তিনি বলেন, ‘এবং এটি খুব ভাল হবে যদি ইতালীয়ানরা তাদের ছুটির দিনগুলো ইতালিতে কাটায়, আমরা এটি আলাদাভাবে করব, নিয়ম এবং সতর্কতার সাথে।’ ইতালিতে লকডাউন ধীরে ধীরে তোলা শুরু হলেও কন্তে জানান যে, জীবন আবার স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। তিনি বলেন, ‘সামনের কয়েক মাসের জন্য অর্থনীতি কিছুটা সময়ের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ হবে, তবে গ্রীষ্মকাল কোয়ারেন্টিনে থাকবে না- ইতালি ছুটিতে যাবে।’
গত ৪ মে ইতালিতে লকডাউন জারি করা হয়েছিল। করোনা সংক্রমণে দেশটি ইউরোপের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্থ দেশ। ইতোমধ্যে সেখানে ৩০ হাজার ৫৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রথম দেশ হিসাবে ইতালি সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছিল এবং ৬ কোটি বাসিন্দাকে ঘরে থাকতে বাধ্য করেছিল।
এদিকে, রোববার কানাডায় করোনাভাইরাসে নিহত মোট মানুষের সংখ্যা ২.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ হাজার ৭২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে দৈনিক মৃত্যুহারে এই সংখ্যা সর্বনিম্ন। সরকারি জনস্বাস্থ্য সংস্থা সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা থেরেসা টাম এক বিবৃতিতে জানান, ‘কোভিড-১৯ মহামারী ঘোষণার পর থেকে আমরা অল্প সময়ের মধ্যে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছি এবং নিঃসন্দেহে আমাদের প্রচেষ্টার ফলে সারা দেশে ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার রোধ করা হয়েছে।’
গতকাল পর্যন্ত কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের প্রায় ৬৯ হাজারে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৮৭০ জনের। এর মধ্যে সর্বাধিক জনবহুল প্রদেশ অন্টারিওতে রোববার মাত্র ২৯৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। ৩১ মার্চের পরে এই সংখ্যা একদিনে আক্রান্তের হিসাবে সর্বনিম্ন।
অন্যদিকে, মার্চ মাসের পরে রোববার স্পেনে করোনাভাইরাসে দৈনিক মৃত্যুহার ছিল সর্বনিম্ন। জরুরি স্বাস্থ্য বিভাগের চিফ ফার্নান্দো সাইমন একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত রোববার করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ১৪৩ জন, ১৮ মার্চের পরে এই সংখ্যা সর্বনিম্ন। গত শনিবার এই সংখ্যা ছিল ১৭৯। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত স্পেনে ২ লাখ ৬৮ হাজার ১৪৩ জন সংক্রমিত ও ২৬ হাজার ৭৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্র : নিউজউইক, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।