মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিপদের মাত্রা কতটা, তা চিহ্নিত করে ব্রিটেনকে পাঁচটি জোনে ভেঙে দেশবাসীকে সতর্ক করার প্রক্রিয়া চালু করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এক থেকে পাঁচের মধ্যে প্রথম স্তর ‘সবুজ’ অর্থাৎ, যেখানে সংক্রমণের মাত্রা সবচেয়ে কম। চ‚ড়ান্ত স্তর ‘লাল’, যেখানে সংক্রমণ সর্বাধিক। এই জোন ভাগ অনুযায়ী যে যে জায়গায় প্রয়োজন, সেখানে বিধিনিষেধ বাড়াবে সরকার। রোববার জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে লকডউন শিথিল করতে নিজের পরিকল্পনা প্রকাশ করেন বরিস জনসন। ব্রিটেনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার মানুষের। এই অবস্থায় লকডাউন সামান্য শিথিল করতে চেয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে সরকারকে। বরিস-ঘনিষ্ঠ মন্ত্রীরা জানাচ্ছেন, সরকারের ‘বাড়িতে থাকুন’ স্লোগান বদলে ‘সতর্ক থাকুন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করুন, প্রাণ বাঁচান’ হতে চলেছে। তবে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ক্ষেত্রে এই বদল হচ্ছে না। পরে লকডাউন তুলতে সরকারের কী পরিকল্পনা, জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় তা-ই তুলে ধরেন জনসন। বলেন, বাড়ি থেকে কাজ করা একেবারেই অসম্ভব হলে কর্মস্থলে যাওয়া চলবে। গাড়ি নিয়ে বেরোনো, পার্কে হাটা বা শারীরচর্চাও করা যাবে।
প্রধানমন্ত্রী টুইটারেও লেখেন, ‘সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রত্যেককেই ভূমিকা নিতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে, নিয়ম মানতে হবে।’ তিনি প্রত্যাশা প্রকাশ করেন যে, আগামী ১লা জুনের মধ্যে স্কুলে ফিরে যেতে পারবে কিছু শিশুরা। জনসন তার বক্তব্যে জানান যে, তার পরিকল্পনায় দোকানপাট খুলে দেয়ার বিষয়টিও রয়েছে। তবে কেবলমাত্র স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ওই পদক্ষেপে সমর্থন জানালে তবেই তা বাস্তবায়ন হবে। এরপর পরিস্থিতি অনুক‚লে থাকলে ১লা জুলাইয়ের পর ধীরে ধীরে আতিথেয়তা সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যবসা ও আরো কিছু জায়গা খুলে দেয়ার কথাও বলেছেন তিনি। জনসন বলেন, এগুলো সমাজ উন্মুক্তকরণের পরিকল্পনার খসড়ার অংশবিশেষ। আচমকা এই সপ্তাহের মধ্যেই লকডাউন খুলে দেয়ার মতো পরিস্থিতি নয় এখন। এর বদলে আমরা আমাদের পদক্ষেপে পরিবর্তন আনার প্রথম সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছি। জনসন আরো জানান, লকডাউন অমান্যকারীদের জন্য জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হবে।
জার্মানির সরকারি তথ্য বলছে, লকডাউন শিথিল করতে না করতেই দেশে সংক্রমণের মাত্রা বাড়ছে। সেখানে শুধু সব দোকানপাটই খুলে দেয়া হয়নি, আগামী সপ্তাহে শুরু হতে ফুটবল লিগও। তবে তার পরেও লকডাউন পুরোপুরি তোলার দাবিতে বিক্ষোভ বাড়ছে। দক্ষিণ কোরিয়াতেও সরকার বিধিনিষেধ হালকা করা মাত্র গত এক মাসের মধ্যে সংক্রমণ সর্বাধিক হয়েছে। সরকার মনে করছে, এই বছরের শেষে ফের দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ মাথা চাড়া দিতে পারে। ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে গত এক মাসের হিসেবে যা সবচেয়ে কম। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।